৯ মার্চ, ২০২৫ দিনটি ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে (India Cricket Team) এক নতুন মোড় নিতে পারে। দুই মহাতারকা বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), তাদের অবসর ঘোষণা করতে পারেন (Retirement from ODI) একইদিনে, একইসঙ্গে। একদিনের ক্রিকেট থেকে তাদের অবসর নিয়ে যে আলোচনা চলছে, তা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। ৯ মার্চ যদি তাদের অবসর ঘোষণা হয়, তবে ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে তা এক শূন্যস্থান তৈরি করবে। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে তাদের অবসর নেওয়ার পর, এবার কি আসন্ন একদিনের ক্রিকেটের ভবিষ্যতেও তারা একই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন?
এর আগে, ২০২৪ সালে ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে কোহলি-রোহিতদের নেতৃত্বে ভারতীয় ক্রিকেটের এক নতুন যুগ শুরু হয়েছিল। তাতে যে চমক সৃষ্টি হয়েছিল, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতীয় দলের সাফল্য এবং তাদের ক্রিকেট দক্ষতা সমগ্র বিশ্বের মধ্যে একটি উচ্চমান প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু ৯ মার্চ যদি তারা একসঙ্গে অবসর ঘোষণা করেন, তাহলে ভারতীয় ক্রিকেটের এই যুগের সমাপ্তি হতে পারে। এমনকি অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেটে তাদের আর দেখা না যেতে পারে।
Also Read | WPL 2025: একানাতে বেথ মুনির ঝড়ে কুপোকাত ওয়ারিয়র্জ
রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির অবসর নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা চলছে। বিশেষত, ২০২৪ সালে রোহিত শর্মা টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর অনেকেই মনে করেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার শেষ দিন হয়ত খুব দূরে নয়। এক্ষেত্রে বিরাট কোহলিরও অবসর নেওয়া এবং রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতীয় দলের এক নতুন প্রজন্মের উত্থান ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ এর দিকে নজর রেখে প্রবীণ কুমার, ভারতীয় দলের প্রাক্তন বোলার, জানিয়েছেন যে ভারত এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতবে। তিনি বিশ্বাস করেন রোহিত শর্মার নেতৃত্বে ভারতীয় দল দুর্দান্ত খেলছে এবং এই টুর্নামেন্টের পর হয়ত রোহিত শর্মা তার ক্রিকেট জীবনের শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রবীণ কুমারের মতে, রোহিত শর্মা শুধুমাত্র একজন ভালো খেলোয়াড়ই নন, একজন অসাধারণ অধিনায়কও। তার নেতৃত্বের মধ্যে যে স্থিরতা রয়েছে, তা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে।
অন্যদিকে, ভারতের ক্রিকেটবিশ্বের অনেকেই মনে করছেন, ৯ মার্চ যদি সত্যিই রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি অবসর ঘোষণা করেন, তবে ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট শূন্যস্থান তৈরি হবে। কারণ, তাদের দুজনের অভাব শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, নেতৃত্বেরও একটি বড় শূন্যস্থান তৈরি করবে। দলের নতুন প্রজন্মের সামনে চ্যালেঞ্জ আসবে তাদের নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে। তাদের সাফল্যের উত্তরসূরি হিসেবে রাহুল, শ্রেয়স আইয়ার কিংবা কোন নতুন মুখ উঠে আসবে কিনা, তা সময়ই বলবে।
২০২৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা দলের বড় পিলার হিসেবে কাজ করেছেন। এই দুটি তারকার অবসর ঘোষণার পর ভারতীয় ক্রিকেটের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য চাপ বেড়ে যাবে। নতুন নেতৃত্ব খুঁজে পেতে ভারতীয় বোর্ডের জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেমন রোহিত শর্মার পরবর্তী নেতৃত্বের জন্য কৌশলী সিদ্ধান্ত নেওয়া, যেমন বিরাট কোহলির নেতৃত্বের শূন্যস্থান পূর্ণ করার জন্য কারা এগিয়ে আসবে, এসব বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হতে পারে।
পরিশেষে, ৯ মার্চ যদি সত্যিই দুই মহাতারকা তাদের অবসর ঘোষণা করেন, তবে সেটা ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন হয়ে থাকবে। ক্রিকেটপ্রেমীরা হয়ত অনেক সময়ের জন্য শোকার্ত হতে পারেন, কিন্তু তাদের রেখে যাওয়া অবদান, ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা এবং সাফল্য যুগের চিহ্ন হিসেবে যুগযুগ ধরে ভারতীয় ক্রিকেটকে পথ দেখাবে।