ভারতীয় ক্রিকেট দলের (India Cricket Team) অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কে এল রাহুলকে (KL Rahul) তার “ক্রাইসিস ম্যান” বলে অভিহিত করেছেন। রোহিতের নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছরে রাহুল দলের জন্য বহু দায়িত্ব পালন করেছেন। একইসঙ্গে বারবার প্রমাণ করেছেন যে তিনি দলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উইকেটকিপার থেকে শুরু করে মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান—যে ভূমিকাই হোক না কেন, রাহুল সবসময়ই নিজের দায়িত্বের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন।
ইরফান ইয়াদওয়াদের পরিবর্তে জাতীয় দলে ইন্টার কাশীর তরুণ ফুটবলার
রোহিত শর্মা বলেন, “গত দুই-তিন বছরে রাহুল আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। আমি তাকে ক্রাইসিস ম্যান হিসেবে দেখি। যখনই আমাদের কিছু প্রয়োজন হয়েছে, রাহুল হাত তুলেছে। কিপিং করতে বললে সে করেছে, যেকোনো জায়গায় ব্যাট করতে বললে সেখানেই ব্যাট করেছে।”
“Rohit Sharma said” KL Rahul faced unnecessary cricticism …
He has been the Crisis Man for me from 2 years or so … Whenever it needed he was the 1st one to raise the hand … #KLRahul
pic.twitter.com/bS3Xrjoslf— ‘vohra (@Awwaayush0) May 8, 2025
২০২৩ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে রাহুল দলের জন্য বড় ভূমিকা পালন করেন। মিডল-অর্ডারে ব্যাট করার পাশাপাশি তিনি উইকেটকিপারের ভূমিকাও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন। তাঁর স্থিতধী মানসিকতা ও শান্ত নেতৃত্বগুণ ম্যাচের চাপের মুহূর্তেও ভারতীয় দলকে স্থির থাকতে সাহায্য করেছে। শুধু ব্যাটসম্যান নয়, একজন পরিপূর্ণ দলপতি হিসেবে রোহিতের পক্ষে এমন একজন খেলোয়াড় খুবই দরকার ছিল—যিনি চাপের মুহূর্তে ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন এবং দলের প্রয়োজনে যে কোনো ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারেন।
হুমকির মধ্যেই ম্যাচের পূর্বে ড্রোন হামলায় গুড়িয়ে গেল স্টেডিয়ামের একাংশ
রাহুলের প্রতি রোহিতের এই আস্থা শুধু পেশাগত নয়, বরং পারস্পরিক সম্মান ও বিশ্বাসেরও প্রতিফলন। রাহুলের ভূমিকা এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে যেখানে তিনি নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দলের স্বার্থে কাজ করেন। আজকের দিনে যখন প্রতিটি খেলোয়াড় নিজের অবস্থান ও পরিচয় রক্ষা করতে সচেষ্ট, তখন রাহুলের এই নির্লিপ্ত আত্মত্যাগ সত্যিই প্রশংসনীয়।
রোহিত আরও বলেন, “সমালোচনা আমাদের আর প্রভাবিত করে না। যদি করত, তাহলে খেলোয়াড়রা আজ ঘরে বসে থাকত। বিছানায় শুয়ে ভাবত যে আমি তো সমালোচিত হচ্ছি, আমি খেলতে পারছি না, সবকিছু আমার বিরুদ্ধে। আমাদের চামড়া এখন মোটা হয়ে গেছে। এটা আমাদের রক্তে আছে।”
স্টেডিয়াম উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি! ইডেনের পর বোমাতঙ্ক নামকরা স্টেডিয়ামে
এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, ভারতীয় দল এখন অনেক বেশি পরিপক্ক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী। নেতিবাচকতা বা বাইরের চাপ আর তাদের প্রভাবিত করে না। এমন মানসিক শক্তির পেছনে আছে বছর বছর কঠিন অভিজ্ঞতা, চাপের মধ্যে খেলা, এবং নিজেকে বারবার প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ।
রোহিত শর্মার এই দৃষ্টিভঙ্গি যে শুধু তার নিজের নয়, বরং পুরো দলের প্রতিনিধিত্ব করে, তা বোঝা যায় তার কথাবার্তায়। কে এল রাহুলের মতো খেলোয়াড়রা এই দলের ভিত মজবুত করেছেন। তার মতো খেলোয়াড়ই একজন অধিনায়কের স্বপ্ন—যিনি যেকোনো সময় যেকোনো ভূমিকা পালনে প্রস্তুত।
‘অপারেশন সিঁদুর’ সরাসরি প্রভাবে বদল IPL গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ভ্যেনু
সবশেষে বলা যায়, ভারতীয় ক্রিকেটের বর্তমান সাফল্যের পেছনে শুধু প্রতিভা নয়, আছে এমন অনেক নির্ভরযোগ্য সৈনিক যারা কখনো শিরোনামে আসে না, কিন্তু দল যখন বিপদে, তখন এগিয়ে আসে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে। কে এল রাহুল সেই নীরব, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সৈনিক—রোহিত শর্মার ‘ক্রাইসিস ম্যান’।