HomeSports Newsদর্শক ভর্তি গ্যলারিতে সতীর্থকে একী শেখালেন রোহিত শর্মা?

দর্শক ভর্তি গ্যলারিতে সতীর্থকে একী শেখালেন রোহিত শর্মা?

- Advertisement -

বর্ডার-গাভাসকার সিরিজের (Border Gavaskar Trophy) বক্সিং ডে টেস্টে (Boxing Day Test) অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে যশস্বী জয়সওয়ালের (Yashasvi Jaiswal) তিনটি ক্যাচ মিস (Drop Catches) ভারতীয় দলের (India Cricket Team) জন্য এক বড় ধরনের বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে, এই ভুলগুলোর ফলে অজি ক্রিকেটারদের ব্যাটে আরও ৬৪ রান এসেছে। যা রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma) জন্য ম্যাচের পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলেছে। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ব্যাটসম্যানরা যখন একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল, তখন যশস্বীর ক্যাচ ছেড়ে দেওয়া এই চাপকে অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।

চিন্তিত সমর্থকরা! ডার্বি নিয়ে ধোঁয়াশা, সুবিধা পাবে ইস্টবেঙ্গল?

   

ভারতীয় দলের জন্য ঘটনাটি শুরু হয় যখন তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৬ তারকা ব্যাট্সম্যানকে দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেন। বুমরাহ-সিরাজরা তখন মনে করছিল, তারা খুব শীঘ্রই অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করতে সক্ষম হবে। কিন্তু মার্নাশ লাবুশেন এবং প্যাট কামিন্সের অসাধারণ ব্যাটিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর বোর্ড চালু রাখে। এখানে ভারতের বড় সুযোগ ছিল তাদের ক্যাচ ধরার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের স্রোত থামানোর, কিন্তু যশস্বী জয়সওয়ালের তিনটি ক্যাচ ফস্কানোর কারণে সেই সুযোগ হারিয়ে যায়।

চোট এবং কার্ড সমস্যার পর নতুন করে একী রোগ ফের বাগান শিবিরে!

প্রথম ভুলটি আসে যখন অস্ট্রেলিয়া ৯৯ রানে পৌঁছায়। লাবুশেন আকাশ দীপের বলে খোঁচা মারেন এবং যশস্বী স্লিপে দাঁড়িয়ে বলটি ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল তাঁর হাতে লেগে বেরিয়ে যায়। এই ক্যাচ মিস করার পর রোহিত শর্মার চেহারা দেখে স্পষ্ট বোঝা যায়, তিনি কতটা রেগে গেছেন। রোহিত তখন তাঁর হাতে ঘুষি মেরে রাগ প্রকাশ করেন, যা থেকে বুঝা যায়, তিনি সতীর্থের এই ভুল মেনে নিতে পারছেন না। যদি লাবুশেন তখন আউট হয়ে যেতেন, তাহলে অস্ট্রেলিয়া আরও চাপে পড়ত এবং হয়তো তাদের ইনিংস দ্রুত শেষ হয়ে যেত।

মাইলফলক ম্যাচের আগে সমর্থক থেকে ফুটবলারদের নিয়ে আবেগপ্রবণ খালিদ জামিল

দ্বিতীয় ভুলটি আসে প্যাট কামিন্সের সময়। যখন তিনি ২০ রানে ব্যাট করছিলেন, তখন যশস্বী তাঁর ক্যাচ আবার মিস করেন। কামিন্স শেষ পর্যন্ত ৪১ রান করেন, কিন্তু এই ক্যাচটি ফেলে দেওয়ার পর রোহিত শর্মা আরও ক্ষুব্ধ হন এবং তিনি যশস্বীকে কিছু একটা বলেন। এই ভুলের পর, ভারতের দল জানত যে তাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের তৃতীয় ওভারে যখন খোয়াজা ২ রানে ব্যাট করছিলেন, তখন একটি আরও কঠিন ক্যাচ ফস্কান যশস্বী। সেই ক্যাচটি ছিল অন্য দুই ক্যাচের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন, তবে তবুও এটি তার কাছ থেকে আশা করা হচ্ছিল। এই ক্যাচ ফেলার পর, খোয়াজা ২১ রান করেন এবং অস্ট্রেলিয়া আরও কিছু রান সংগ্রহ করে।

যশস্বীর এই তিনটি ভুল ভারতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি যশস্বী ওই তিনটি ক্যাচ ধরতে পারতেন, তবে ভারত হয়তো অস্ট্রেলিয়াকে ২০০ রানের মধ্যেই আটকে দেওয়া সম্বব হট এবং চতুর্থ ইনিংসে কম রান তাড়ার চাপ পেত। তবে যশস্বীর এই ভুল অস্ট্রেলিয়াকে খেলার মধ্যে ফিরিয়ে দেয় ফলে তাদের রান বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়।

প্রথম ছয় লক্ষ্য জামিলের, বছরের শেষ ম্যাচ জিততে মরিয়া কেরালা

দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর দাঁড়িয়েছে ৯ উইকেটে ২২৮ রান, ভারত থেকে ৩৩৩ রানে এগিয়ে তারা। এই পরিস্থিতিতে, ভারতীয় দল যদি এই গ্যাপটি কাটাতে পারে এবং বড় রান তাড়া করতে সক্ষম হয়, তবে যশস্বীর এই ভুলের পরিণাম অনেক বড় হতে পারে। ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও দলের অন্যান্য সদস্যদের জন্য এটি এক বড় শিক্ষা হতে পারে যে ক্যাচ ধরার গুরুত্ব কতটা।

এখন প্রশ্ন হল, যশস্বীর এই তিনটি ভুল ভারতের জন্য কি বড় দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়াবে? সঠিক সময়ে ক্যাচ ধরলে হয়তো ভারতীয় দল আরও সুবিধাজনক অবস্থানে থাকতে পারতো। তবে ক্রিকেটে এসব ভুল যে কোনো দলেই হতে পারে, কিন্তু তাদের পরিণতি যে কোনো দলের জন্য অপ্রত্যাশিত হতে পারে, সেটাই ক্রিকেটের আসল রহস্য।

- Advertisement -
Subhasish Ghosh
Subhasish Ghoshhttps://kolkata24x7.in/author/sports-news-desk
শুভাশীষ ঘোষ এক প্রাণবন্ত ক্রীড়া সাংবাদিক, বর্তমানে Kolkata24X7.in ক্রীড়া বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ। ক্রিকেট থেকে ফুটবল, হকি থেকে ব্যাডমিন্টন প্রতিটি খেলাতেই তাঁর দখল প্রশংসনীয়। তিনি নিয়মিত ফিল্ড রিপোর্টিং করেন এবং ISL, I-League, CFL, AFC Cup, Super Cup, Durand Cup কিংবা Kolkata Marathon মতো মর্যাদাসম্পন্ন ইভেন্টে Accreditation Card প্রাপ্ত সাংবাদিক। ২০২০ সালে সাংবাদিকতার জগতে আত্মপ্রকাশ, আর তখন থেকেই বাংলার একাধিক খ্যাতিমান সাংবাদিকের সাহচর্যে তালিম গ্রহণ। সাংবাদিকতার পাশাপাশি ইতিহাস ও রাজনীতির প্রতি রয়েছে অগাধ টান, যার প্রমাণ তাঁর অফবিট যাত্রাপথ ও অনুসন্ধিৎসু মন। পেশাগত প্রয়োজনে কিংবা নিতান্ত নিজস্ব আগ্রহে ছুটে যান অজানার সন্ধানে, হোক পাহাড়ি আঁকাবাঁকা গলি কিংবা নিঃসঙ্গ ধ্বংসাবশেষে ভরা প্রাচীন নিদর্শন। ছবি তোলার নেশা ও লেখার প্রতি দায়বদ্ধতা মিলিয়ে শুভাশীষ হয়ে উঠেছেন সাংবাদিক।
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular