ভারতীয় স্পিনাররা দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy 2025) ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। তাদের দক্ষতার জোরে ভারত নিউজিল্যান্ডকে (India vs New Zealand) ৫০ ওভারে ২৫১ রানে ৭ উইকেটে সীমাবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। কুলদীপ যাদব (২/৪০) এবং বরুণ চক্রবর্তী (২/৪৫) প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন, যখন রবীন্দ্র জাদেজা এবং মোহাম্মদ শামি একটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিন্তু ভারতীয় বোলারদের আক্রমণের সামনে তাদের শুরুটা ভালো হয়নি। তবে, ড্যারিল মিচেল (৬৩) এবং মাইকেল ব্রেসওয়েল (৫৩) দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে শেষের দিকে দারুণভাবে লড়াই করে একটি প্রতিযোগিতামূলক স্কোর গড়ে তুলেছেন।
Innings Break!
Clinical bowling effort from #TeamIndia bowlers as they restrict New Zealand to a total of 251/7 in the Finals of the Champions Trophy!
Scorecard – https://t.co/OlunXdzr5n #INDvNZ #ChampionsTrophy #Final pic.twitter.com/F4WmHJ4wJR
— BCCI (@BCCI) March 9, 2025
ম্যাচের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ ভারতীয় স্পিনারদের দাপটে কিছুটা হোঁচট খেয়েছিল। কুলদীপ যাদব তার চতুর স্পিনের জালে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের বিপাকে ফেলেছিলেন। তার বলের সামনে ব্যাটাররা সঠিক উত্তর খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ৪০ রানে দুটি উইকেট নিয়ে তিনি ম্যাচে ভারতের আধিপত্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অন্যদিকে, বরুণ চক্রবর্তীও তার রহস্যময় স্পিন দিয়ে কিউই ব্যাটারদের পরীক্ষায় ফেলেছিলেন। ৪৫ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়ে তিনি কুলদীপের সঙ্গে দারুণ তাল মিলিয়েছেন। জাদেজা তার অভিজ্ঞতা ও নিয়ন্ত্রিত বোলিং দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন, যা নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারকে আরও চাপে ফেলে দেয়। মোহাম্মদ শামি পেস দিয়ে এই স্পিন আক্রমণের পরিপূরক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি একটি উইকেট নিয়ে দলকে সমর্থন জুগিয়েছেন।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ড্যারিল মিচেল এবং মাইকেল ব্রেসওয়েল দলের হাল ধরেছিলেন। শুরুতে উইকেট হারানোর পর এই দুজন মিলে দলকে সংঘবদ্ধ করেন। মিচেল ৬৩ রানের একটি দৃঢ় ইনিংস খেলে ভারতীয় বোলারদের চ্যালেঞ্জ জানান। তার ব্যাট থেকে আসা কিছু চমৎকার শট ম্যাচে উত্তেজনা যোগ করেছিল। ব্রেসওয়েলও ৫৩ রান করে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এই দুজনের জুটি ভাঙার পরও নিউজিল্যান্ড শেষ ওভারগুলোতে দ্রুত রান তুলে ম্যাচে ফিরে আসে। তাদের লড়াইয়ের মনোভাব এবং শেষ দিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ২৫১ রানের একটি যুদ্ধংদেহী স্কোর গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
ভারতীয় স্পিনারদের এই দিনে প্রশংসা না করে পারা যায় না। কুলদীপ এবং বরুণের নেতৃত্বে স্পিন আক্রমণ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংকে শুরু থেকেই চাপে রেখেছিল। জাদেজার অভিজ্ঞতা এবং শামির গতি এই আক্রমণকে আরও শক্তিশালী করেছে। তবে নিউজিল্যান্ডের শেষ দিকের প্রত্যাবর্তন ম্যাচটিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলেছে। ভারতের সামনে এখন ২৫২ রানের লক্ষ্য। এই স্কোর তাড়া করা সহজ হবে না, তবে ভারতীয় ব্যাটারদের সামর্থ্য বিবেচনা করলে এটি অসম্ভবও নয়। ফাইনালের দ্বিতীয় ইনিংসে কী ঘটে, সেটাই এখন সবার নজরে।