রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে আগুনে বোলিং করলেন আভেশ খান (Avesh Khan)। মধ্যপ্রদেশের হয়ে বিদর্ভের বিরুদ্ধে শেষ চারের ম্যাচ খেলছেন আভেশ। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের প্রথম দিনেই নতুন ও পুরাতন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের ঘুম। তাঁর দুর্দান্ত বোলিংয়ের ওপর ভর করে বিদর্ভকে প্রথম ইনিংসে ১৭০ রানে গুটিয়ে দেয় মধ্যপ্রদেশ।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের প্রথম দুটি টেস্ট ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার অংশ ছিলেন আভেশ খান। তবে তিনি প্লেয়িং ইলেভেনে সুযোগ পাননি। পরে সিরিজের শেষ তিন টেস্ট থেকে বাদ পড়েন। মধ্যপ্রদেশের হয়ে খেলা আভেশ খান রঞ্জি সেমিফাইনালে বিদর্ভের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে বিদর্ভকে দ্রুত অলআউট করার পর প্রথম ইনিংসে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান তুলেছিল মধ্যপ্রদেশ। এখনও ১২৩ রানে পিছিয়ে মধ্যপ্রদেশের দল।
ভিসিএ স্টেডিয়ামের পিচ এতটাই সবুজ ছিল যে মধ্যপ্রদেশ দিনের মোট ৫৬.৪ ওভারের মধ্যে স্পিনারদের বল দিয়েছে মাত্র ২.৪ ওভার পেয়েছিল। বিদর্ভের শেষ ব্যাটসম্যান উমেশ যাদবের উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার কুমার কার্তিকেয়। সরাংশ জৈনের মতো স্পিনাররা দর্শক হয়ে রইলেন।
বিদর্ভের হয়ে ব্যাটিংয়ে কেবল করুণ নায়ারই ক্রিজে থাকতে পেরেছিলেন, যিনি ৯টি চারের সাহায্যে ১০৫ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। ভারতীয় ফাস্ট বোলার আভেশ খান ওপেনার ধ্রুব শোরের (১৩ রান) স্টাম্প উপড়ে মধ্যপ্রদেশকে ভালো শুরু এনে দেন। এরপর বিদর্ভ দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে। দলের পক্ষে সবচেয়ে বড় পার্টনারশিপ ছিল অথর্ব তাইদে (৩৯ রান, ৮ চার) এবং আমন মোখাদের (১৩ রান, ৭৫ বল) মধ্যে ৩৬ রানের।
বিদর্ভের কমপক্ষে ২০০ রানে পৌঁছানোর আশাও শেষ হয়ে গিয়েছিল যখন করুণ নায়ার পুল শট খেলতে গিয়ে খেজরোলিয়ার বলে বোল্ড করা হন। ২০১৪ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া আভেশ খান ৪৩ ম্যাচে নিয়েছেন ১৬৪ উইকেট। ৫ উইকেট পেয়েছেন ৮ বার, ১০ বার নিয়েছেন ৪ উইকেট।