মঙ্গলবার শক্তিশালী কাতারের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও জয় আসেনি গুরপ্রীতদের। প্রথমার্ধের শেষে এক গোলের ব্যবধানে দলকে এগিয়ে রেখেছিল ছাংতে। যারফলে, আবারো নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল ভারতবাসী। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময় গোল লাইনের বাইরে থেকে বল টেনে ভারতের (Indian Football) জালে জড়িয়ে যান কাতারের ইউসুফ আয়মেন। সেই নিয়ে ভারতীয় ফুটবলাররা প্রতিবাদ জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারপর আল-রাভির দূরপাল্লার শটে দ্বিতীয় গোল তুলে নেয় কাতার। সেই সুবাদে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের পরবর্তী রাউন্ডে চলে যায় এই ফুটবল দল।
অন্যদিকে, দেশের মাটিতে কুয়েতের বিপক্ষে হতাশাজনক ড্র করার পর এই ম্যাচে পরাজিত হয়ে স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায় ভারতের। রেফারির অন্তিম বাঁশি বাজার পর কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায় আনোয়ারদের। তবে রেফারির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিন্দায় সরব হয়ে ওঠে গোটা নেট দুনিয়া। সেই নিয়ে এবার বিশেষ চিঠিও পাঠান সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি কল্যান চৌবে। তবে এই নিয়ে আদৌ কি সিদ্ধান্ত উঠে আসে এএফসির হেড অফ কম্পিডিশনের তরফ থেকে এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। কিন্তু এবার কি বদল করা হবে ভারতীয় দলের কোচ? সচিব নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই জোর জল্পনা দেখা দিয়েছিল ভারতীয় ফুটবল মহলে।
গত মার্চে দুর্বল আফগানিস্তানের বিপক্ষে লজ্জাজনক পরাজয়ে পর হেড কোচ ইগর স্টিমাচকে নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় ফুটবল সমর্থকদের। পরবর্তীতে ফেডারেশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল কুয়েত ম্যাচের ফলাফলের ভিত্তিতেই ভাগ্য নির্ধারিত হবে এই ক্রোয়েশিয়ান কোচের। তবে সেই ম্যাচ অমীমাংসিত থাকায় কাতার ম্যাচের দিকে নজর ছিল সকলের। এবার এই ম্যাচে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়েই এখন সরগরম বিশ্ব ফুটবল। তবে ভারতীয় হেড কোচ নিয়ে উঠে আসল নয়া তথ্য।
বিশেষ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইগর স্টিমাচ নিজে থেকে পদত্যাগ না করলে আগামী ২০২৬ সাল পর্যন্ত দলের দায়িত্ব থাকতে পারে তার হাতেই। তার আগে এই কোচকে বিদায় জানাতে হলে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে এই কোচকে। বর্তমানে যা দিতে গিয়ে কালঘাম ছুটতে পারে ফেডারেশনের। যদিও এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি গোটা বিষয়টি।