বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে কলকাতা ফুটবল লিগ (Calcutta Football League) নিয়ে বারংবার সরগরম হয়েছে ময়দান। এ ই সিজনে খাতায় কলমে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিবেচিত হলেও সেই নিয়ে ও দেখা দিয়েছিল ব্যাপক জটিলতা। তাঁর উপর এবার ভূমিপুত্র সংরক্ষণ নিয়ে উঠে এসেছে নয়া তথ্য। গত কয়েকদিন আগেই আইএফএ’র বৈঠক অনুযায়ী আগামী সিজন থেকে কলকাতা লিগের প্রিমিয়র ডিভিশনে প্রথম একাদশে পাঁচজন ভূমিপুত্র খেলানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে প্রতিটি ক্লাবের ক্ষেত্রে। আগের মরসুম পর্যন্ত এক্ষেত্রে চারজন ফুটবলারকে প্রথম একাদশে রাখার নির্দেশ থাকলেও এবার বেড়েছে সেই সংখ্যা।
পাশাপাশি প্রতিটি ক্লাব বা প্রতিটি দল ৪০ জন ফুটবলারের যে তালিকা পাঠাবে। তার মধ্যে কমপক্ষে ১৫ জন ভূমিপুত্রকে রাখতে হবে এই তালিকায়।
এক্ষেত্রে বাঙালি খেলোয়াড় ছাড়াও বাংলার বুকে দীর্ঘদিন বসবাসকারী নয়া প্রতিভাদের সুযোগ দেওয়ার স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। সেই নিয়েই গত কয়েকদিন আগেই সরব হয়েছিলেন বাঙালি তারকা প্রবীর দাস। নিজের ফেসবুক লাইভের মধ্য দিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উঠে আসা নয়া প্রতিভাদের চাওয়া পাওয়া, আশা,হতাশার মত বিষয়গুলি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন এই ফুটবলার। যা নিঃসন্দেহে নজর কেড়েছিল বাংলার সকল ফুটবলপ্রেমী মানুষদের। পরবর্তীতে বিবিধ সংস্থার তরফে সেই নিয়ে আবেদন পত্র পাঠানোর কথা উঠে আসে। এই সমস্ত কিছু নিয়েই এবার মুখ খুললেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত।
একটি জনপ্রিয় মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “যেকোনো ফুটবল ক্লাব চাইলে নব্বই মিনিট মাঠে এগারো জন বাঙালি ফুটবলার খেলাতে পারে। সেখানে কোনো বাঁধা নেই। যারা খেলাতে চায় খেলাতেই পারে। এবার কিছু জিনিস মাথায় রাখতে হবে। আইএফএ কে সমস্ত ফুটবল ক্লাব গুলির কথা মাথায় রেখেই চলতে হয়। যারা ভারতীয় স্তরে প্রতিনিধিত্ব করে তাঁরা ও চায় নিজেদের গুছিয়ে নিতে। তাছাড়া বহু খেলোয়াড় কলকাতা লিগ খেলে পরবর্তীতে আইএসএল কিংবা আইলিগে সুযোগ পেয়েছে। সুতরাং সেই সমস্ত দিক গুলিও মাথায় রাখতে হবে। সংরক্ষণ তাঁদের দরকার হয়, যারা পিছিয়ে থাকে। বা যারা সমানে নেই। আজকে বাংলা ভারতবর্ষের ফুটবলের লিডিং স্টেট। সেখানে বাংলার ফুটবলারদের সংরক্ষণের কথা আসছে কেন।”
আইএফএ সচিব আরও বলেন, ” বাংলার ফুটবলাররা যাতে আরও বেশি মাত্রায় উঠে আসে সেজন্য আমরা কাজ করছি। বাঙালি ফুটবলারদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেকটি ক্লাবে প্রায় ১৫ জন করে বাঙালি ফুটবলার রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরফলে তাঁরা ভালো প্রাকটিস পাবে। খেলার সুযোগ পাবে। কোনো দলের অনুশীলনে যদি বাংলার খেলোয়াড় ভালো খেলে তাহলে কোনো কোচই তাঁকে বসিয়ে রাখতে চাইবে না। অনুশীলনে খেলোয়াড়রা ভালো খেললে তাঁরা সহজেই সুযোগ পাবে। আজকে বাংলা সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন, আইএসএল চ্যাম্পিয়ন, আইলিগ টু চ্যাম্পিয়ন, বিসিরয় ট্রফি চ্যাম্পিয়ন। সেইসাথে আইলিগ ওয়ানে আমাদের দল গেছে। আগের বছর চারজন ছিল এইবার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে পাঁচজন করা হয়েছে। পরের বার সেটা আরও বাড়ানোর কথা হয়েছে। আমার মনে হয় বাংলার ফুটবলারদের সংরক্ষণের প্রয়োজন হয় না। তাঁরা ফুটবলটা নিয়েই জন্মায়।”