স্পোর্টস ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপে বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের (Shree Cement) সঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের (East Bengal) চুক্তি নিয়ে সমস্যা মিটে গিয়েছে। গতবারও তাঁর উদ্যোগেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে অংশ নিয়েছিল লাল-হলুদ বাহিনী। এবার বাংলার ফুটবলকে বাঁচাতে আইএফএ-র কর্তারাও দ্বারস্থ হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন শুভ ঘোষ-আদিল খানকে দলে নিয়ে চমক দিল এসসি ইস্টবেঙ্গল
দুই প্রধানকে এবার কলকাতা লিগে খেলতে দেখা যাবে না। সেই ঘটনা জানাতেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গেলেন ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। রবিবার ছিল এটিকে মোহনবাগানের খেলা। প্রতিপক্ষ রঞ্জন ভট্টাচার্যের জর্জ টেলিগ্রাফ। কল্যাণী স্টেডিয়ামে জর্জের ফুটবলার-সহ কোচ, কর্তারা উপস্থিত থাকলেও দল নামায়নি এটিকে-মোহনবাগান। আজ, মঙ্গলবার কল্যাণীতে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের। যথারীতি তারাও টিম নামায়নি। জর্জের কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ঘরোয়া লিগে ছোট দলের ফুটবলাররা প্রস্তুতি নেয় বড় ম্যাচে খেলবে বলে। মোহনবাগান, এসসি ইস্টবেঙ্গল, মহামেডানের মতো দলগুলোর বিপক্ষে খেললে খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়ে। সেটাই এবার সম্ভব হল না।”
মোহনবাগান পৌঁছে গিয়েছে এএফসি কাপের মূলপর্বে। তার উপর জাতীয় দলের হয়ে নেপালে খেলতে চলে গিয়েছেন পাঁচজন ফুটবলার। সেপ্টেম্বরে মূলপর্বের খেলা হওয়ায় দেশেও ফিরে গিয়েছেন দলের অনেক ফুটবলার। ফলে কলকাতা লিগে দল নামাবে না বলে অনেক আগেই আইএফএকে জানিয়েছিল ক্লাব। সৃঞ্জয় বোস জানিয়েছেন, “আগেই বলেছিলাম, আবার শনিবার মেল করে আমরা জানিয়েছিলাম, আমাদের পক্ষে ঘরোয়া লিগে খেলা এবার সম্ভব নয়। এটাতো দেশের সম্মানের প্রশ্ন। তাই আমরা আইএফএ-র সহযোগিতা চেয়েছি। তাছাড়া এবার কোভিড পরিস্থিতির দরুন সেভাবে প্র্যাকটিসও হয়নি।”
![](https://data1.ibtimes.co.in/en/full/617778/kolkata-derby.jpg)
অন্যদিকে সবে চুক্তি সমস্যা মেটার পর দলগঠনে নেমেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ফলে প্র্যাকটিস ছাড়া দল নামাতে রাজি নন তারাও। লাল-হলুদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বরের আগে তাঁদের পক্ষে কলকাতা লিগে দল নামানো অসম্ভব। তারপর খেলতে তাঁদের আপত্তি নেই। যদিও কলকাতা লিগ চলাকালীনই হয়তো আইএসএলেরও খেলা পড়ে যাবে, ফলে আইএফএ কর্তারা ইস্টবেঙ্গলের মাঠে না নামার বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত। ফলে বাংলার ফুটবলের এই তথৈবচ অবস্থার কথা জানিয়ে বিহিত চাইতেই নবান্ন যাচ্ছেন আইএফএ কর্তারা।