গত বছর ধরে প্রতিবাদ সচেতনতা মূলক প্রতিবাদ ও অবরোধ করে চলেছে “জাস্ট স্টপ অয়েল”-র কর্মীরা। আগের সপ্তাহেই আয়ারল্যান্ড টেস্টের জন্য লর্ডসগামী ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাসকেও আকটে দেন তাঁরা। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার বাসও একই সমস্যায় পরে, কর্মীদের প্রতিবাদ মিছিলে গাড়ি চলাচল রূদ্ধ হয়ে যায়। “জাস্ট স্টপ অয়েল”-এর প্রতিবাদ যে ওভালের মাঠের পিচ অবধি পৌঁছাবে না, এমন নিশ্চয়তা দিতে পারছে না আইসিসি। অগত্যা বিকল্প পিচ তেরি করে রাখা হচ্ছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের(World Test Championship) জন্য। একেবারেই যদি আসল পিচে খেলা অসম্ভব হয়, তবেই ব্যবহৃত হবে বিকল্প পিচ।
“জাস্ট স্টপ অয়েল”-এর প্রতিবাদের গতিবিধি যদি একটু পড়ি যায়, তবে দেখা যাবে তারা মূলত ক্রীড়া ক্ষেত্রেই প্রতিবাদ দেখাচ্ছে। সে টিম বাস হোক, বা যেকোনো টুর্নামেন্টে ঢুকো খেলা ভন্ডুল করাই হোক। গত বছর ইংল্যান্ডেরই প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল, ওয়ার্ল্ড স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ এবং প্রিমিয়ারশিপ রাগবি ইউনিয়নের মতো বড়ো টুর্নামেন্টের মাঝে ঢুকে প্রতিবাদ জানায় তারা- ফলে ব্যহত হয় ম্যাচ।
আইসিসি কর্মকর্তারাও এমন কিছু আশঙ্কা করছে ওভালেও। তবে তাঁরা এও জানান যে পিচ যদি ক্ষতিগ্রস্তহয়, তবে সেই পিচ সারিয়ে তোলায চেষ্টা করবেন পিচ নির্মাতারা। তবে একেবারেই অসম্ভব হলে খেলা হবে বিকল্প পিচে।
আইসিসির এই পদক্ষেপের ব্যাপারে জানানো হয় দু’দলের অধিনায়ককেই। বস্তুত অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক তথা ক্রিকেট ফর ক্লাইমেটের নির্মাতা প্যাট কামিন্স সক্রিয় ভাবে পরিবেশ সচেতনতা মুলক নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। তবে জাস্ট ফর অয়েলের বিষয়ে তিনি তেমন কিছু জানেন না বলেই জানান।
প্যাট বলেন, “প্রথমত, আমি বলি যে আমি সত্যিই এই বিষয়ে বিশেষ কিছু জানিনা তাই আমি সত্যিই জানি না যে এই প্রতিবাদগুলির মূল বক্তব্য কি। তবে আমি বিশ্বাস করি যে সবসময়ই জিনিসগুলি নিয়ে এগোবার একটা সঠিক উপায় থাকে। এবং সম্ভাব্যভাবে এখন যেটা হচ্ছে, সেটা সঠিক উপায় নয়।”