সম্প্রতি শেষ হওয়া বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে (Border Gavaskar Trophy) ভারত (India) বনাম অস্ট্রেলিয়া (Australia) টেস্ট সিরিজের প্রতিটি ম্যাচের জন্য পিচ রেটিং (Pitch Ratings) প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (ICC)। আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে যে, সিরিজের পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে চারটি ম্যাচের পিচ পেয়েছে খুবই ভালো রেটিং, যা আইসিসির পিচ রেটিং স্কেলে সর্বোচ্চ রেটিং। শুধুমাত্র সিডনি টেস্টের পিচ পেয়েছে সন্তোষজনক রেটিং, যা আইসিসির পিচ রেটিং স্কেলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
এই ভারতীয় লেফট ব্যাকের দিকে নজর একাধিক ফুটবল ক্লাবের
বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি সিরিজটি ছিল ২২ গজে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এক উত্তেজনাপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর যুদ্ধ। পিচ রেটিং অনুযায়ী, প্রথম চারটি টেস্টের পিচের মান ছিল অসাধারণ। প্রথম টেস্টের জন্য পিচ ছিল পার্থ স্টেডিয়ামে, দ্বিতীয় টেস্ট অ্য়াডিলেড ওভালে, তৃতীয় টেস্ট গাব্বাতে এবং চতুর্থ টেস্ট মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই চারটি পিচের মান ছিল ‘ভেরি গুড’। সিডনি টেস্টের পিচের মান ছিল কিছুটা কম, যেখানে পিচ রেটিং ছিল সন্তোষজনক।
কলকাতা ডার্বি নিয়ে আবেগপ্রবণ আর্মান্দো সাদিকু, কী বললেন?
২০২৩ সালে আইসিসি তাদের পিচ রেটিং সিস্টেম সংস্কার করেছে এবং এর মধ্যে ছয়টি ক্যাটেগরি থেকে চারটি ক্যাটেগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে: ‘ভেরি গুড’, ‘স্যাটিসফ্যাক্টরি’, ‘আনস্যাটিসফ্যাক্টরি’ এবং ‘আনফিট’। ২০২৩ সালে আইসিসি জানিয়েছে, পিচ রেটিংয়ের লক্ষ্য হল খেলার মান বজায় রাখা এবং বিশ্ব ক্রিকেটে পিচের বিভিন্ন ধরন উপভোগ্য ও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠা।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) ক্রিকেট অপারেশনস এবং শিডিউলিং প্রধান পিটার রোচ আইসিসির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “আমরা বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি সিরিজের জন্য তৈরি করা পিচগুলির মান দেখে খুবই আনন্দিত এবং আমরা কিউরেটরদের এবং দেশব্যাপী ভেন্যুগুলির পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞ। আমরা এমন পিচ তৈরি করতে চাই যা সেই ভেন্যুর বিশেষ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে এবং এটি দীর্ঘদিন ধরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের একটি বৈশিষ্ট্য হিসেবে পরিচিত।”
স্টুয়ার্টকে সামনে রেখেই ডার্বি জয়ের ছক বাগান কোচের
তিনি আরও বলেন, “আমরা কখনোই এমন পিচ তৈরি করি না যা শুধুমাত্র হোম দলের সুবিধা দেবে বা আমাদের সিরিজের পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই হবে। আমরা চেয়েছি এমন পিচ যাতে ব্যাট ও বলের মধ্যে ভালো প্রতিযোগিতা হয় এবং পিচগুলি ম্যাচের ফলাফল তৈরি করতে সক্ষম হয়।”
বর্ডার-গাভাসকার সিরিজটি ছিল উল্লিখিত মানের উত্তেজনা ও প্রতিযোগিতার। প্রথম টেস্টে ভারতের ২৯৫ রানের বড় জয় ছিল, কিন্তু তারপর অস্ট্রেলিয়া প্রতিশোধ নেয় এবং অ্যাডিলেড, মেলবোর্ন ও সিডনিতে জয়ী হয়। গাব্বা টেস্টে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি ড্র হয়ে যায়।
বুধবার সকালেই শহরে আসছেন ক্রেসপো? উঠে এল নয়া তথ্য
অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ জয়ের মাধ্যমে তারা ২০২৩-২০২৫ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে জায়গা পায়, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই সিরিজের জয় অস্ট্রেলিয়ার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তাদের দীর্ঘ সময়ের পর ২০১৪-২০১৫ সালে শেষ হওয়া বর্ডার-গাভাসকার ট্রফি জয়কে পুনরুদ্ধার করেছে। অন্যদিকে, ভারত ১-৩ ব্যবধানে সিরিজ হারার পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে।
সোমবার মিটেছে সই পর্ব, মঙ্গল থেকেই অনুশীলনে রবি
এই সিরিজটি কেবল একটি ২২ গজে যুদ্ধ নয়, বরং এক একটি পিচের সাথে ঐতিহ্য ও স্থানীয় বৈশিষ্ট্যও জড়িয়ে ছিল। অস্ট্রেলিয়ার মাঠগুলিতে যা দেখা যায়, তা হলো ক্রিকেটের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা, যেখানে প্রতিটি ম্যাচই ছিল এক একটি নতুন পরীক্ষার মঞ্চ, যা ক্রিকেট প্রেমীদের হৃদয় জয় করেছে। অন্যদিকে, আইসিসির পিচ রেটিং সিস্টেম এই ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ সিরিজগুলির মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।