ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স (ICC) তাদের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ২৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে “সেন্টেনারি ম্যারাথন রান ২০২৫” আয়োজন করে। এই বিশেষ ইভেন্টটি ছিল একটি মাইলফলক যা পেশাদার অ্যাথলিট, কর্পোরেট নেতৃবৃন্দ এবং ফিটনেস
উজ্জীবিতদের একত্রিত করেছে। এর মাধ্যমে ক্রীড়াবিষয়ক মনোভাব ও শারীরিক সুস্থতা প্রচার করা হয়েছিল।
ম্যারাথনটি সঞ্চালনা করেন ভারতীয় অলিম্পিয়ান এবং সাবেক সাংসদ জ্যোতির্ময়ী শিকদার। তিনি দুটি এশিয়ান গেমস সোনালী পদক জিতেছেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রনতি দাস (জিমন্যাস্ট); দেবলীনা কুমার (অভিনেত্রী); ড. সুতপা রায় (অধ্যক্ষ) এবং মহাম্মদ ইকবাল (মডেল)।
ম্যারাথনে দুটি প্রতিযোগিতামূলক রেস ছিল—একটি ১১ কিলোমিটার রান পেশাদার অ্যাথলিটদের জন্য এবং একটি ৩.৫ কিলোমিটার রান, যা ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী সকল অংশগ্রহণকারীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল। উভয় বিভাগের বিজয়ীরা নগদ পুরস্কার জিতেছেন।
১১ কিলোমিটার পুরুষ বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন মোস্তফা মল্লা। তিনি ২০,০০০ টাকা পুরস্কৃত হন। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন প্রীতম দাস (১৫,০০০/-) এবং তৃতীয় স্থানে ছিলেন রোমিত ঘোষ (১০,০০০/- )। মহিলাদের বিভাগে প্রথম হন রিম্পি দেবী, তিনি ২০,০০০ টাকা পুরস্কৃত হন। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন চন্দ্রিমা মিশ্র (১৫,০০০/-) এবং তৃতীয় স্থানে ছিলেন দীপান্নিতা রায় (১০,০০০/-)।
৩.৫ কিলোমিটার পুরুষ বিভাগের বিজয়ী হন অম্বুজ তিওয়ারি, যিনি ১০,০০০ টাকা পুরস্কৃত হন। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কুলদীপ তিওয়ারি (৭,০০০/-) এবং তৃতীয় স্থানে ছিলেন সায়ান কৃষ্ণ দাস (৫,০০০/-)। মহিলাদের বিভাগে শর্মিষ্ঠা সিনহাবাবু প্রথম স্থান অধিকার করেন, তিনি ১০,০০০ টাকা পুরস্কৃত হন। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ঈশা মণ্ডল (৭,০০০/-) এবং তৃতীয় স্থানে ছিলেন মুসকান জৈন (৫,০০০/-)।
View this post on Instagram
এই ম্যারাথনটি শুধুমাত্র একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল না, বরং এটি ICC’র শতবর্ষের ঐতিহ্য ও অগ্রগতির প্রতিফলন ছিল। এদিনের অনুষ্ঠানটি ফিটনেস ও ক্রীড়া সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতির পরিচয় দিল। ICC এর শতবর্ষপূর্তি উদযাপন শুধুমাত্র ব্যবসা বা কর্পোরেট জগতের সফলতার উদযাপন ছিল না, বরং এটি একটি সুস্থ, শক্তিশালী এবং শক্তিশালী সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই ইভেন্টটি ক্রীড়াবিদদের এবং ফিটনেস অনুরাগীদের জন্য এক উৎসাহজনক মঞ্চ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এটি ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য নিয়ে সমাজে আরও সচেতনতা বৃদ্ধির একটি চমৎকার উদাহরণ।