সেমি-ফাইনালের লক্ষ্যে নিউজিল্যান্ড, মান বাঁচানোর লড়াইয়ে বাংলাদেশ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) সেমি-ফাইনালে ওঠার দৌড়ে নিউজিল্যান্ড (New Zealand) বর্তমানে তাদের সেরা ফর্মে রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টানা জয় দিয়ে তারা…

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy) সেমি-ফাইনালে ওঠার দৌড়ে নিউজিল্যান্ড (New Zealand) বর্তমানে তাদের সেরা ফর্মে রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টানা জয় দিয়ে তারা ট্রাই-সিরিজের শিরোপা জিতেছিল এবং এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেও পাকিস্তানকে পরাজিত করেছে। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার উইল ইয়াং ও টম লাথাম একের পর এক শতক হাঁকিয়ে দলের স্কোর ৩০০ ছাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তারপর ম্যাট হেনরি এবং উইল ও’রোর্কের বোলিংয়ে পাকিস্তান খুঁজে পায়নি সমাধান। তিনটি স্পিনারও নিজেদের দারুণ দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন এবং ম্যাচটি আর দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের (New Zealand vs Bangladesh) বিরুদ্ধে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে। 

এখন যদি তারা বাংলাদেশকে পরাজিত করতে পারে, তাহলে সেমি-ফাইনালে তাদের জায়গা নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে নিউজিল্যান্ডের জন্য এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ, কারণ তারা টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ বোলারকে ইনজুরির কারনে হারিয়েছে।

   

অন্যদিকে বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে তাদের ফর্ম হারিয়ে ফেলেছে। ভারতের বিপক্ষে তাদের ইনিংস শুরু হয়েছিল ৫ উইকেটে ৩৫ রান দিয়ে। যদিও জাকার আলী ৬৮ রান করার পর ভারতীয় ফিল্ডারের ভুলের কারণে বাংলাদেশ আরও কিছু রান যোগ করতে সক্ষম হয়। তাও তারা ২২৮ রান করতে পারেনি। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে উজ্জ্বল পারফরম্যান্স দেখান তৌহিদ হৃদয়, তার প্রথম ওডিআই শতক করে। তবে শেষের দিকে তার পেশী খিঁচ খাওয়ার কারণে বাংলাদেশ তার ইনিংস শেষ করতে পারেনি। এই ম্যাচে হৃদয় একদিকে যেখানে শক্তিশালী থাকবেন, অন্যদিকে বাংলাদেশ আশা করবে যে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দলে ফিরলে তাদের ব্যাটিং আরও শক্তিশালী হবে।

বাংলাদেশের বোলিংও ভারতের বিপক্ষে বেশ ভালো ছিল। কিন্তু তারা এখন আরও বেশি পারফরম্যান্স চায়। বিশেষত, তাসকিন আহমেদ, রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ ওনাহিদ রানা—এরা সবাই বড় ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে পারবে কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। বিশেষত রানা যেহেতু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার খেলবেন, তার থেকে একটা সুপ্ত আক্রমণের প্রভাব বাংলাদেশ পেতে পারে।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের ইনফর্ম ক্রিকেটার গ্লেন ফিলিপসও আলোচনায় আছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রিজওয়ানের নেওয়া ক্যাচ তার দুর্দান্ত ক্যাচগুলোর মধ্যে একটি। তার ব্যাটিংও ম্যাচে দ্রুত রান তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অফস্পিনও করেন এবং উইকেটকিপিংও জানেন।

পরিবর্তন

নিউজিল্যান্ড দলে রাচিন রবীন্দ্র অনুপস্থিতি ছিল পাকিস্তান ম্যাচে। তবে তার ফিটনেস ফিরে আসলে নতুন পরিবর্তন আসতে পারে। তারা কীভাবে রবীন্দ্রকে দলে ফিরিয়ে নেবে, তা নির্ভর করছে দলের শুরুর ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্সের উপর। এছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বোলিং কৌশল কী হবে, তা দেখতে আকর্ষণীয় হবে।

পিচ ও আবহাওয়া

রাওয়ালপিন্ডির পিচে সাধারণত ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধা থাকে, তবে ফাস্ট বোলাররা নতুন বলে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেন। এছাড়া আবহাওয়া কিছুটা শীতল থাকবে যা বোলারদের জন্য সহায়ক হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, কে কেমন পারফর্ম করবে, সেটা আসল প্রশ্ন।

এখন বাংলাদেশের সামনে একটি বড় পরীক্ষা এবং নিউজিল্যান্ড তাদের বিপক্ষে শক্তিশালী পারফরম্যান্স প্রদর্শন করার জন্য প্রস্তুত।

সম্ভাব্য একাদশ

নিউজিল্যান্ড
উইল ইয়াং, ডেভন কনওয়ে, কেন উইলিয়ামসন, ড্যারিল মিচেল , টম লাথাম (উইকেটকিপার), গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), নাথান স্মিথ, ম্যাট হেনরি, উইল ও’রোর্ক

বাংলাদেশ
তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ ,তৌহিদ হৃদয় , মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার) , জাকার আলী, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ , মুস্তাফিজুর রহমান