বহু বিতর্কের পর চূড়ান্ত হয়েছে গত আইলিগের (I-League) বিজয়ী দল। সকল জল্পনা কল্পনার পর অবশেষে এই খেতাব জয় করেছে বারাণসীর ইন্টার কাশী ফুটবল ক্লাব। একটা সময় সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বিশেষ কমিটির তরফে গোয়ার শক্তিশালী দল চার্চিল ব্রাদার্সকে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করা হলে পরবর্তীতে আন্তজার্তিক আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল ইন্টার কাশী ম্যানেজমেন্ট। যেখানে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করা হয় আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ইন্টার কাশী ফুটবল দলকে। পরবর্তীতে সেই নিয়ে চার্চিলের তরফে আইনি লড়াই শুরু করলেও খুব একটা সুবিধা করা সম্ভব হয়নি।
তবে গতবারের হতাশা কাটিয়ে বহু আগে থেকেই নতুন সিজনের জন্য ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে অধিকাংশ ফুটবল ক্লাব। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের তুলনায় খুব একটা পিছিয়ে ছিল না আইলিগের ফুটবল ক্লাব গুলি। সেক্ষেত্রে বারংবার উঠে আসতে শুরু করেছিল দক্ষিণের শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব গোকুলাম কেরালার (Gokulam Kerala) নাম। শেষ সিজনে দুরন্ত ফুটবল খেলে ও পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে থেকেই যাত্রা শেষ করেছিল গোয়ার এই ফুটবল ক্লাব। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশ ছিল সমর্থকরা। কিন্তু সেইসব এখন অতীত। নতুন মরসুমে ভালো ফল করতে বদ্ধপরিকর গোকুলাম।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেজন্য একাধিক দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের দলে চূড়ান্ত করে ফেলেছে আইলিগের ক্লাব। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ফুটবলারদের পাশাপাশি তরুণ ব্রিগেডের সমন্বয়কে কাজে লাগাতে চান দলের কোচ। এছাড়াও দলের আক্রমণভাগকে মজবুত করতে এক তরুণ স্ট্রাইকারের খোঁজ শুরু করেছিল আইলিগের এই ফুটবল দল। ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার পর থেকেই সেই মতো একের পর এক তরুণ প্রতিভার দিকে নজর পড়েছিল ম্যানেজমেন্টের। কথাবার্তাও এগোতে শুরু করেছিল অনেকটা দূর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঘোষণা হয়নি সেই ফুটবলারের নাম।
তবে এবার বিভিন্ন মাধ্যম থেকে উঠে আসতে শুরু করেছে মাতিয়াস হার্নান্দেজের কথা। বর্তমানে সেই দেশের যুব লিগের দল সান লরেন্সোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বছর কুড়ির এই ফুটবলার। আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে চুক্তি থাকলেও ট্রান্সফার ফি দিয়ে তাঁকে ভারতে আনতে আগ্ৰহী দক্ষিণের আইলিগ জয়ীরা। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো স্পষ্ট হবে বিষয়টি।