এফসি গোয়াকে আটকে কী বললেন চেম্বাকাথ?

গত বুধবার সন্ধ্যায় নিজেদের পরবর্তী অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল হায়দরাবাদ এফসি‌ (Hyderabad FC)।  যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী এফসি গোয়ার সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে…

Shameel Chembakath

short-samachar

গত বুধবার সন্ধ্যায় নিজেদের পরবর্তী অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে নেমেছিল হায়দরাবাদ এফসি‌ (Hyderabad FC)।  যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী এফসি গোয়ার সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হয় এই ফুটবল ম্যাচ। একটা সময় আর্মান্দো সাদিকুর করা গোলে এগিয়ে গিয়েছিল প্রতিপক্ষ ফুটবল দল। যারফলে বেশ কিছুটা রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে শুরু করেছিল হায়দরাবাদ ফুটবল দল। তবে সময় এগোনোর সাথে সাথেই ক্রমশ চাপ বাড়াতে শুরু করেছিল গোয়া শিবির। কিন্তু অ্যালেক্স সাজিদের অনবদ্য ডিফেন্সে তাঁরা আটকে যায় বারংবার।

   

যারফলে গোলের ব্যবধান আর বাড়ানো সম্ভব হয়নি। কিন্তু ম্যাচের শেষ কোয়ার্টার থেকেই পাল্টা চাপ বাড়াতে থাকে হায়দরাবাদ। যারফল ও মেলে হাতেনাতে। নির্ধারিত নব্বই মিনিটের পর ম্যাচের অতিরিক্ত সময় গোয়া রক্ষণভাগে ফাটল ধরিয়ে গোল করে যান অ্যালান ডি সুজা মিরান্ডা। যার কোনও জবাব ছিল না সন্দেশ ঝিঙ্গানদের কাছে। তাই শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়ে উভয় পক্ষ। বিশেষ করে হায়দরাবাদ এফসির এমন পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে চমকে দিয়েছে সকলকে। বলাবাহুল্য, গত মাসে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা ইমামি ইস্টবেঙ্গল দলকে ও শেষ পর্যন্ত আটকে দিয়েছিল হায়দরাবাদ এফসি। গোয়া ম্যাচে ও বজায় থাকল সেই ধারা।

ফুটবলারদের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট খুশি হায়দরাবাদ এফসির অন্তবর্তীকালীন কোচ শামিল চেম্বাকাথ। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি মনে করি দল যখন খেলার সমতায় ফেরে তখন চাপ আরও বেড়ে যায়। সমতা এনে দেন, তখন সবসময় চাপ থাকে। আমার কাছে এটা শুধুমাত্র সমতায় ফেরার গোল নয়, এটা আমাদের দলের ফুটবলারদের লড়াকু মানসিকতা। যেটা সকলেই আমরা দেখেছি। এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন পারফরম্যান্স আমাদের দলের ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়বে। আগামী ম্যাচ গুলিতে সকলেই এমন পারফরম্যান্স করার চেষ্টা করবে। আমি আমার সকল ফুটবলারদের প্রশংসা করি, যারা বেঞ্চে থেকে ও নিজেদের সেরাটা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন”।

আরও বলেন, ” এমন পারফরম্যান্স দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দলের অধিনায়ক মাঠ ছাড়ার পর ও খেলোয়াড়রা যে লড়াকু মানসিকতা দেখিয়েছে সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমার মতে এটাই হয়তো আমাদের আইএসএলের অন্যতম সেরা কামব্যাক। আশা রাখি আগামী ম্যাচ গুলিতে আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়েই লড়াই করবে”।