বিগত কয়েক সিজন ধরেই তথৈবচ ফলাফল করে আসছে হায়দরাবাদ এফসি (Hyderabad FC)। গত মরসুমে ও ভারতীয় কোচ থাংবোই সিংটোর পছন্দ অনুযায়ী তাঁর নির্দেশ মতোই দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের সই করিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দল গঠনের ফলে প্রাক মরসুম প্রস্তুতির খুব একটা সময় ছিল না একবারের আইএসএল জয়ীদের কাছে। স্বাভাবিকভাবেই যার প্রভাব পড়েছিল দলের পারফরম্যান্সে। তবে পরবর্তীতে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং দক্ষিণের শক্তিশালী ক্লাব তথা কেরালা ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে জয় নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল দলের ফুটবলারদের।
কিন্তু বেশিদিন বজায় ছিল না সেই ধারাবাহিকতা।পরবর্তীতে একের পর এক শক্তিশালী দলের কাছে আটকে যেতে হয়েছিল নিজামের শহরের দলকে। যারফলে তলানিতে থেকেই লিগ শেষ করতে হয়েছিল হায়দরাবাদ এফসিকে। তবে নতুন মরসুমের কথা মাথায় রেখে অনেক আগে থেকেই ঘর গোছানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। বিশেষ করে ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার পর থেকেই ক্রমশ সক্রিয়তা দেখাতে শুরু করে এই ফুটবল ক্লাব। সেক্ষেত্রে এবার ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছিল একাধিক বিদেশি ফুটবলারদের নাম। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন নুনো রেইস। গত আইএসএলের শুরুতেই তাঁকে দলে টেনেছিল কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান তথা মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
পরবর্তীতে দলের হয়ে মাত্র দুইটি ম্যাচেই খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন বছর চৌত্রিশের এই সেন্টার ব্যাক। তবে হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরের মে মাসেই তাঁর সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে সবুজ-মেরুনের। তারপর আদৌও তা বাড়ানো হবে কিনা সেই নিয়ে দেখা দিয়েছিল ধোঁয়াশা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই তাঁকে দলে নিতে আগ্ৰহ প্রকাশ করে হায়দরাবাদ এফসি। সময় এগোনোর সাথে সাথেই কথাবার্তা এগিয়ে গিয়েছিল অনেকটা দূর। এমনকি বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ও তাঁকে দলে টানতে নাকি যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে আইএসএল জয়ী এই ফুটবল দলের। শেষ পর্যন্ত আদৌ তিনি এই ফুটবল ক্লাবে যোগদান করবেন কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
তাছাড়াও বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে দেশের প্রথম ডিভিশন ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন ঘিরে দেখা দিয়েছে ব্যাপক জটিলতা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে শর্তসাপেক্ষে সুপার কাপে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশের প্রথম ডিভিশনের ফুটবল দলগুলি। প্রথম ডিভিশন ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন হওয়া নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন সবুজ সংকেত দিলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও কিছু ঘোষণা হয়নি এখনো পর্যন্ত। যারফলে চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।