তেলেঙ্গানায় ‘সাউথ ডার্বিতে’ পাহাড়ি শেরপাই আশা দেখাচ্ছেন হায়দ্রাবাদকে

কথাতেই আছে ‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’। অর্থাৎ বর্তমান যুগে এই পৃথিবী সবসময় মনে রাখে লড়াইযের ময়দানে জিতে যাওয়া মানুষকে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পর পর চার…

Hyderabad FC coach Thangboi Singto

কথাতেই আছে ‘জো জিতা ওহি সিকন্দর’। অর্থাৎ বর্তমান যুগে এই পৃথিবী সবসময় মনে রাখে লড়াইযের ময়দানে জিতে যাওয়া মানুষকে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের পর পর চার মরশুমে অসংখ্য ম্যাচ হেরে, লিগ টেবিলের তলানিতে থাকা হায়দরাবাদ এফসির (Hyderabad FC) কোচ থেংবোই সিংটো (Thangboi Singto) নিজেও বেশ ভালো করেই জানেন সেকথা। তাই এ মরশুমের শুরুতেই পরস্পর দুটি ম্যাচ হারলেও আগামী মঙ্গলবার ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে সেই পাহাড়ি শেরপার ওপর ভরসা রাখছেন হায়দ্রাবাদ এফসির সমর্থকরা।

বিগত মরশুমের মতই এবছর খেলতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি ২০২১ সালের বিজয়ী হায়দরাবাদ এফসির। এবছর আইএসএল খেলতে নেমে প্রথমে বেঙ্গালুরু এবং পরে পাঞ্জাবের কাছে লজ্জার হার হেরেছেন রদ্রিগেজ- অধিকারী – শ্রীভাসরা। সবথেকে আশ্চর্যের ব্যাপার হল দুই ম্যাচে হারলেও প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন হায়দ্রাবাদ স্ট্রাইকাররা। বিগত বৃহঃস্পতিবার (১৯ শে সেপ্টেম্বর) এবছর আইএসএলের প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে ৩-০ গোলে পরাজিত হয় সিংটোর দল। পরবর্তী ম্যাচে দিল্লির জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে একই ভাবে ২-০ পাঞ্জাব এফসির কাছে পরাস্ত হয় হলুদ- কালো বাহিনী।

   

আইএসএলে অংশগ্রহণকারী দলগুলির মধ্যে একটা সময় কাঁধ না ঝুঁকিয়ে একঝাঁক ভারতীয় প্লেয়ারের একটা অবিশ্বাস্য লড়াইয়ের জন্য বিখ্যাত ছিল এই হায়দ্রাবাদ এফসি দল। বিগত কিছু মরশুমে আর সেই পুরোনো দলের কোনো ছাপ পাওয়া যায়নি হায়দ্রাবাদ এফসির তরফ থেকে।গত বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের হোম গ্রাউন্ড জহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে বল পজেশন ও পাসিং এর ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল হায়দ্রাবাদ। কেরিয়ারের প্রগ্রেসের জন্য এই আঠেরো-উনিশ কিংবা বড়জোর বাইশ বছরের তারকাদের হারিয়ে ফেলেছে বর্টুসিয়া ডর্টমুন্ডের সদস্য ক্লাবটি। এছাড়াও রক্ষণভাগ এবং মাঝমাঠে দুর্বলতা বার বার প্রতিটি ম্যাচে চিন্তায় ফেলেছে হায়দ্রাবাদ এফসিক।

এ মরশুমে এখনও পর্যন্ত জয়ের মুখ না দেখলেও আগামী মঙ্গলবার জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী হায়দ্রাবাদ কোচ সিংটো। যে কোন লিগেই উত্তেজনা না দেখিয়ে মাথা নিচু করেই সাইডলাইনের ধারে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা এই ভদ্রলোকের কাছে সবকিছু যেন গৌণ। বেশ কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে একা হাতে একটা গোটা সিস্টেমকে তিনি দেখাতে চান যে , ফুটবলটা খেলাতে হলে ফুটবলটা জানতে হয়। জয় নিজের নিয়মেই আসবে। বর্তমানে এত আলোর ঝলকানির মধ্যে, কত তাবড় কোচ কত অজুহাত দিচ্ছেন। কখনও রেফারিং, কখনও চোট, কখনও বা প্লেয়ারের অভাব – সেদিক থেকে তিনি আলাদা। তবে ১লা অক্টোবর তার এই হিমশীতল মস্তিষ্ক কতটা কাজে লাগতে পারে হায়দ্রাবাদের, তার উত্তর আপাতত সময়ের গর্ভে।