গত আইএসএল ম্যাচে ইমামি ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয়েছিল ওডিশা এফসি (Odisha FC)। সম্পূর্ন সময়ের শেষে এক গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয় জগন্নাথের রাজ্যের এই ফুটবল ক্লাব। অ্যাওয়ে ম্যাচ থাকার দরুন প্রথম থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান দলকে। তবে ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ইস্টবেঙ্গলের তারকা ফুটবলার মাদিহ তালাল চোটের কবলে পড়তেই বদলাতে থাকে গোটা পরিস্থিতি। তারপর প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে দলের আরেক তারকা ফুটবলার জিকসন সিং লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তেই যথেষ্ট ব্যাকফুটে চলে আসে মশাল ব্রিগেড।
প্রথমার্ধের শেষে গোলশূন্য ফলাফল থাকলেও ম্যাচের সময় যত এগোয় ততই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে থাকে ওডিশা। তবে পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। একটা সময় লালচুংনুঙ্গার গোলে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে গেলেও তা বেশিক্ষণ বজায় থাকেনি। পরবর্তীতে আক্রমণের উঠতে শুরু করে সার্জিও লোবেরার ছেলেরা। তারপর অনায়াসেই জেরি মাউহিমিংথাঙ্গার গোলে সমতায় ফিরে আসে ওডিশা এফসি। ক্রমশ জমজমাট হয়ে উঠতে শুরু করে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ।
সেটা দেখে সহজে বোঝার অপেক্ষা ছিল না ইস্টবেঙ্গল দশজনে ফুটবল খেলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বজায় থাকেনি এই লড়াই ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন হুগো বুমোস (Hugo Boumous)। যারফলে অনায়াসেই এগিয়ে যায় মুর্তাজা ফলরা। যার কোনও জবাব ছিল না ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারদের কাছে। তাই অনবদ্য লড়াই করেও আসেনি জয়। ঘরের মাঠে লাল-হলুদের জয় আটকে দেন মরোক্কান তারকা। তাঁর গোল নিঃসন্দেহে মন জয় করবে ওডিশা সমর্থকদের। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন দল মোহনবাগান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যথেষ্ট আবেগপ্রবণ থাকতে দেখা যায় বুমোসকে।
তিনি বলেন, ” লড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না। আমাদের ছেলেরা যথেষ্ট ভালো লড়াই করেছে। অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট পাওয়ায় আমরা সকলেই যথেষ্ট খুশি।” পাশাপাশি মোহনবাগান প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন ” মোহনবাগান ভারতের অন্যতম সেরা ক্লাব। আমি এখনও মোহনবাগান সমর্থকদের যথেষ্ট পছন্দ করি। তাঁদের উন্মাদনা মিস করি।”