গ্যারেজে বিলাসবহুল গাড়ি, ব্যাঙ্কে কোটি-কোটি টাকা! বিসিসিআই থেকে কত স্যালারি পান জয় শাহ?

গোটা ক্রিকেট বিশ্বের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড যে সবথেকে বিত্তবান, তা চোখ বন্ধ করে বলা যেতেই পারে। আর এই বোর্ডের সচিব জয় শাহ (Jay…

Jay Shah

গোটা ক্রিকেট বিশ্বের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড যে সবথেকে বিত্তবান, তা চোখ বন্ধ করে বলা যেতেই পারে। আর এই বোর্ডের সচিব জয় শাহ (Jay Shah) ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী প্রশাসক, তাও সকলে একবাক্যে স্বীকার করেন। ইতিমধ্যে জয় শাহ তিনবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতিত্বও করেছেন। সম্প্রতি আবার শোনা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতিও তাঁকে করা হতে পারে। বিসিসিআই সচিব থাকাকালীন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন দেখতে পাওয়া গিয়েছে।

বিসিসিআই থেকে কত টাকা স্যালারি পান জয় শাহ?
আপনারা হয়ত শুনলে খানিকটা অবাকই হবেন যে শুধুমাত্র জয় শাহই নন, বিসিসিআইয়ের কোনও উচ্চপদস্থ আধিকারিক মাসিক বেতন পান না। চমকাবেন না? এটাই সত্যি যে বিসিসিআই সভাপতি, সহ সভাপতি, সচিব, সহ সচিবের মতো যত পদ রয়েছে, সেইসকল আধিকারিকরা কোনও মাসিক বেতন পান না। যদিও তাঁদের নিজেদের পকেট থেকে কোনও খরচাও অবশ্য করতে হয় না। শুধুমাত্র স্যালারি ছাড়া যাবতীয় সুযোগ সুবিধা তাঁরা পেয়ে থাকেন। পাশাপাশি দেশ-বিদেশে বিভিন্ন বৈঠকে অংশগ্রহণ করার জন্য তাঁরা নিয়মিত ভাতা পেয়ে থাকেন।

   

দৈনিক ভাতা গ্রহণ করেন বিসিসিআই আধিকারিকরা
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে বিসিসিআই-য়ের বার্ষিক বৈঠকের পর আধিকারিকদের খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। দেশের মধ্যে কোনও বৈঠকে অংশগ্রহণ করার জন্য বিসিসিআই আধিকারিকরা প্রতিদিন ৪০ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন। আর বিদেশে কোনও বৈঠকে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রতিদিন ৮০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, দেশে কিংবা বিদেশের যে কোনও জায়গায় ট্রাভেল করার জন্য বোর্ডের পক্ষ থেকে বিজনেস ক্লাসের টিকিটও দেওয়া হয়।

সম্মানরক্ষার ম্যাচেও ব্যর্থ শুভমান, আদৌ টিম ইন্ডিয়ায় সুযোগ দেওয়া উচিত? প্রশ্ন সমর্থকদের

জয় শাহের মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত?
১৯৮৮ সালের ২২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন জয় শাহ। তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি বি.টেক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে হৃষিতা প্যাটেলকে বিয়ে করেন। বিসিসিআই সচিব হওয়ার আগে দীর্ঘদিন তিনি নিজের রাজ্য অর্থাৎ গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ক্রিকেট প্রশাসক হওয়ার আগে তিনি যথেষ্ট খ্যাতনামা ব্যবসায়ী ছিলেন। বেশ কয়েকটি ব্যবসার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১২৪ কোটি টাকা।