দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের (Zimbabwe) কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। জিম্বাবুয়ের এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা এসেছে। এই ম্যাচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান তোলে আয়োজক শ্রীলঙ্কা। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ক্রেইগ আরভিনের দুর্দান্ত ৭০ রানের ইনিংসের ভিত্তিতে ১ বল বাকি থাকতে লক্ষ্য অর্জন করে জিম্বাবুয়ে।
১৯.৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের ওপেনার ব্যাটসম্যান ক্রেইগ আরভিন শ্রীলঙ্কার লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেন, যার ভিত্তিতে সফরকারী দল ম্যাচ জিততে সক্ষম হয়। ইরভিন ৫৪ বলে ৭০ রান করেন। এই ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। আরভিন ছাড়াও ব্রায়ান বেনেট করেন ২৫ রান। একই সময়ে লুক জংওয়ে ১২ বলে অপরাজিত ২৫ রান এবং ক্লাইভ মাদান্দে ৫ বলে ১৫ রান করেন। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন লুক জংওয়ে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও চারিথ আসালাঙ্কা দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি করলেও তাদের কঠোর পরিশ্রম শেষ পর্যন্ত জলে যায়। ম্যাথিউস ৫১ বলে অপরাজিত ৬৬ রান করেন। তার ইনিংসের মধ্যে রয়েছে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা। একই সময়ে আসালঙ্কা ৩৯ বলে করেন ৬৯ রান। আসালঙ্কা তার ইনিংসে ৫ টি চার এবং ৩ টি ছক্কা মেরেছিলেন। দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা বিশেষ কিছু করতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের পক্ষে লুক জংওয়ে ও মুজারাবানি ২টি করে উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন মাহিশ থিকসানা ও দুশমন্ত চামিরা, যারা তাদের নামে ২ টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।
24 runs in the final over!
Three sixes in the 20th over as Zimbabwe beat Sri Lanka for the first time in a men's T20I 👏#SLvZIM 📝: https://t.co/DrpXUAGgcc pic.twitter.com/bgCdcgXzkj
— ICC (@ICC) January 16, 2024
জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা এই জয়ের পর বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম, কিন্তু আজ অবিশ্বাস্য ছিল। আমরা জানতাম উইকেট আরও ভালো হবে। এমনকি আমরা যখন চেঞ্জ রুমে ফিরে আসি তখনও আমি রাগ করিনি। ভেবেছিলাম এই উইকেটে এটা ভালো স্কোর। আমি চেয়েছিলাম আমাদের দল ১০ ওভার শেষে নুন্যতম উইকেট হারিয়ে ৮০ রানে পৌঁছাক। আমরা ১১ ওভারে ৮০ রান করেছিলাম। আমরা জানতাম যে আরও একটি ওভার আছে যা দাসুন বা অ্যাঞ্জেলো বা যে কাউকেই বোলিং করতে হবে। মাথা ঠাণ্ডা রেখেছিল সবাই। চামিরা ও মাদুশঙ্কার বিপক্ষে আমাদের মাত্র একটি বাউন্ডারি দরকার ছিল। জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে রয়েছে যে দলটি লড়াই করে এবং ফিরেও আসে।’