শেষ কয়েক মাস ধরেই আনোয়ার আলিকে (Anwar Ali) নিয়ে সরগরম ভারতীয় ফুটবল। সময় যত এগিয়েছে এই ভারতীয় ডিফেন্ডারকে নিজেদের প্রমান করার লড়াই ক্রমশ তীব্র হয়ে উঠেছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) এবং মোহনবাগান (Mohun Bagan ) সুপার জায়ান্টের মধ্যে। উল্লেখ্য, গত মরসুমে মোহনবাগানের হয়ে খেলেছিলেন এই ফুটবলার। দলের সাফল্য এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। কিন্তু নয়া মরসুমে তাঁকে সই করায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। তারপর থেকেই এই ফুটবলারকে ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে নামে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
Also Read | বসুন্ধরা ম্যাচে চোট পেয়েছেন হেক্টর ইউস্তে, কী ভাবছেন অস্কার ব্রুজন?
পরবর্তীতে সময় যত এগিয়েছে ততই জটিল হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। শেষ পর্যন্ত এই নিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির তরফে সিদ্ধান্ত জানান হলেও তাতে সন্তুষ্ট থাকেনি ইস্টবেঙ্গল। তাই পরবর্তীতে সেটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। তারপর বিচারপতির নির্দেশে পিএসসির তরফে আগে জারি করা সমস্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করে গোটা বিষয়টি শুরু থেকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত। সেই অনুযায়ী পরবর্তীতে নতুন করে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পেয়েছিলেন আনোয়ার। পাশাপাশি পরবর্তী শুনানিতে গোটা বিষয়টি দেখার কথা ও তুলে ধরা হয়।
Also Read | এপারের মশালের আগুনে পুড়ে ছাই ওপার বাংলার বসুন্ধরা কিংস
কিন্তু সেক্ষেত্রে দেখা দেয় এক অন্য সমস্যা। আনোয়ার আলির আইনজীবীর শারীরিক অসুস্থতার কারণে পিছিয়ে যেতে থাকে শুনানির দিন। যারফলে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গ্ৰুপ পর্বের ম্যাচ খেলার পাশাপাশি পরবর্তীতে আইএসএল ডার্বিতে লাল-হলুদ জার্সিতে খেলতে কোনও রকম বাঁধা নেই আনোয়ার আলির। বলাবাহুল্য, আইএসএলে সেভাবে তিনি নজর কাড়তে সক্ষম না হলেও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের শুরু থেকেই নিজের জাত চিনিয়ে আসছেন এই ভারতীয় সেন্টার ব্যাক। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে দলের রক্ষণভাগ সামাল দেওয়ার পাশাপাশি প্রথম গোল ও করে ফেলেছেন আনোয়ার।
Also Read | বসুন্ধরাকে হারিয়ে ফিরে এল জয়ের ধারায় ইস্টবেঙ্গল, তবুও সন্তুষ্ট নন অস্কার
প্রতিপক্ষের গোল পোস্টের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শট নিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন এই তারকা ফুটবলার। যা সহজেই মন জয় করেছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। ম্যাচ শেষে সেই নিয়ে মিডিয়ার তরফে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ” আমি প্রচন্ড খুশি। এত বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছি। গোল করেছি। লাল-হলুদ জার্সিতে প্রথম গোল পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম। সেটা হয়েছে। আশা করি আগামী দিনে ও এভাবেই গোল করে দলকে সাহায্য করতে পারব। আমি আজ খুবই খুশি। জয় ইস্টবেঙ্গল।”