গত সিজনটা খুব একটা মধুর ছিল না ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ফুটবল ক্লাবের। খেলোয়ারদের চোট আঘাতের পাশাপাশি গোলের খরা যথেষ্ট ভুগিয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধানকে। সেই হতাশা কাটিয়ে উঠে অনেক আগে থেকেই নতুন সিজনের জন্য নিজেদের দল সাজাতে শুরু করে দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে ভারতীয় প্রতিভাদের পাশাপাশি একাধিক বিদেশি ফুটবলারদের দিকে ও নজর ছিল লেসলি ক্লডিয়াস সরণির এই দলের। এক্ষেত্রে গতবারের মতো দলের ফরোয়ার্ড লাইনে গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকসের পাশাপাশি যে আরেক নতুন স্ট্রাইকারকে দলে আনা হবে সেই ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। সেজন্য একাধিক হাইপ্রোফাইল ফুটবলারদের দিকে নজর ছিল মশাল বাহিনীর।
এক্ষেত্রে সময় যত এগিয়েছিল ততই জোড়ালো হয়েছিল হামিদ আহদাদের (Hamid Ahdad) নাম। শেষ পর্যন্ত তাঁকেই চূড়ান্ত করে লাল-হলুদ। এই মরোক্কান তারকার উপস্থিতিতে নিঃসন্দেহে অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে উঠবে দলের আক্রমণভাগ। তারপর গত রবিবার সন্ধ্যায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখেন এই হাইপ্রোফাইল ফরোয়ার্ড। সেই নিয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। তারপর শুধুমাত্র সরকারি ঘোষণার অপেক্ষায় ছিল সকলে। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে নিজেদের সোশ্যাল সাইট থেকে তাঁর যোগদানের কথা জানিয়ে দিল ম্যানেজমেন্ট।
সেই অনুযায়ী আপাতত একটি সিজনের চুক্তিতে তাঁকে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, ” আমি এই ক্লাব সম্পর্কে দারুন কিছু শুনেছি। এত শতাব্দীর ঐতিহ্য সম্পন্ন একটি ক্লাবে যোগদান করা একটি সম্মানের বিষয়। আমি অতীতে জামালেক এসসি-র হয়ে খেলেছি, তাই আইকনিক ডার্বির সাথে জড়িত চাপ এবং তীব্রতা সম্পর্কে আমি ভালোভাবেই অবগত। এখন আমি কলকাতা ডার্বি উপভোগ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। যা এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ডার্বি। আমি এই ক্লাব এবং তাঁদের আবেগপ্রবণ সমর্থকদের জন্য আমার সেরাটা দিতে চাই এবং যতটা সম্ভব ট্রফি জিততে চাই।”
বলাবাহুল্য, ভারতে আসার আগে মরোক্কোর প্রথম ডিভিশনের ফুটবল ক্লাব ম্যাস ফেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সেই দলের জার্সিতে খেলেছিলেন ১৭টি ম্যাচ। যার মধ্যে ৩টি গোলের পাশাপাশি ৩টি অ্যাসিস্ট ছিল এই তারকার। একটা সময় এই টুর্নামেন্টেই খেলতেন নর্থইস্টের বর্তমান তারকা ফুটবলার আলাদিন আজারেই। এবার সেই লিগ থেকেই ফুটবলার চূড়ান্ত করেছে অস্কার ব্রুজনের দল।