আইপিএল ২০২৫ (IPL 2025) নিজেদের প্লে-অফের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখতে গুজরাট টাইটান্স (Gujarat Titans) শুক্রবার ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad) বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামবে। সোমবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ১৪ বছরের কিশোর বৈভব সূর্যবংশীর দুর্দান্ত ইনিংসে গুজরাট যে ভরাডুবির শিকার হয়েছে, সেটা তারা দ্রুত ভুলে যেতে চাইবে।
ইতিহাসের পথে জামশেদপুর এফসি! মন্তব্য সেমিফাইনাল হিরোর
সেই ম্যাচে বৈভব সূর্যবংশীর ব্যাটিং যেন রূপকথাকেও হার মানায়। মাত্র ১৪ বছর বয়সেই দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাসে খেলেছেন তিনি এবং গুজরাট টাইটান্সের ২০০-র বেশি রান তাড়া করে সহজেই জয় এনে দেন রাজস্থানকে। ম্যাচ শেষে গুজরাটের তরুণ ব্যাটার সাই সুদর্শন বলেন, “বৈভব যেভাবে ব্যাট করেছে, সেটা দেখাটা সত্যিই অসাধারণ ছিল।”
তবে গুজরাটের কৌশল নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। দলটি সাধারণত পাওয়ারপ্লেতে ঝুঁকিহীন ব্যাটিং করে এবং ম্যাচের শেষদিকে ঝড় তোলে। এই পদ্ধতিতে তারা সোমবার ২০০ রানের বেশি তুললেও তা প্রতিপক্ষের কাছে যথেষ্ট ছিল না।
ফাইনালের মহারণে ‘মেন অফ স্টিল’ সমর্থকদের জন্য বিশেষ উদ্যগ নিল ক্লাব
গুজরাটের বড় শক্তি হল তাদের বোলিং ইউনিট, যারা সাধারণত প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষের বোলিং বিশ্লেষণ করে দ্বিতীয় ইনিংসে সেই অনুযায়ী বলের লাইন-লেংথ ঠিক করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে। কিন্তু ভাইভব সূর্যবংশীর ভয়ডরহীন ব্যাটিং ও অসাধারণ শট নির্বাচন গুজরাটের সেই পরিকল্পনাকে ভেঙে চুরমার করে দেয়।
এবারের ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সের সামনে থাকবে আরও এক বড় চ্যালেঞ্জ—সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপজ্জনক ওপেনিং জুটি: অভিষেক শর্মা ও ট্রাভিস হেড। দু’জনই অত্যন্ত আক্রমণাত্মক মানসিকতার ব্যাটার এবং শুরু থেকেই বোলারদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেন। এই জুটিকে দ্রুত ফেরানো না গেলে গুজরাটের জন্য ম্যাচ কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
সুপার কাপের ফাইনালে গোয়া-জামশেদপুর, তরুণদের লড়াইয়ে মুগ্ধ কোচরা
মাঝের সারিতে হায়দরাবাদের রয়েছে ঈশান কিশান, হাইনরিখ ক্লাসেন এবং অনিকেত ভার্মা—যারা এখনও পর্যন্ত চলতি মরসুমে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে পারেননি। তবে একবার ফর্মে ফিরলে এই ব্যাটিং লাইনআপ যে কোনও সময় বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে। তাই গুজরাটের বোলারদের শুরু থেকেই টাইট লাইন-লেংথ বজায় রাখতে হবে এবং মিডল অর্ডারে চাপ ধরে রাখতে হবে।
গুজরাট টাইটান্সের জন্য এই ম্যাচ ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতির। জয় পেলে তারা প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকবে, কিন্তু হেরে গেলে তাদের রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যদিকে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যদি এই ম্যাচ জিতেও যায়, তবুও তাদের প্লে-অফের ভাগ্য নির্ভর করবে অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের উপর।
কলকাতা ফুটবল লিগে রেফারির মান উন্নত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিল IFA
গুজরাটের জন্য এই ম্যাচে শুভমন গিল, রাশিদ খান ও মহম্মদ সিরাজের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সামনে বড় দায়িত্ব থাকবে। পাশাপাশি তরুণ খেলোয়াড়দের কাছ থেকেও অবদান প্রয়োজন, বিশেষ করে বোলিং ইউনিটকে রানের গতিপথ নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
সব মিলিয়ে শুক্রবারের ম্যাচ হতে চলেছে হাইভোল্টেজ। গুজরাট টাইটান্স নিজেদের ভুল শুধরে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া, আর সানরাইজার্স হায়দরাবাদ চাইবে আরও একটি জয় যোগ করে নিজেদের অবস্থানকে মজবুত করতে। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এই ম্যাচ হতে চলেছে এক রোমাঞ্চকর সন্ধ্যা।