আইপিএল ২০২৫-এর উত্তেজনা তুঙ্গে। প্রতিটি ম্যাচ যেন ক্রিকেটের দৈত্যদের মহারণ। শনিবার গুজরাট টাইটান্স (GT) এবং দিল্লি ক্যাপিটালস (DC)-এর মধ্যে মুখোমুখি লড়াই শুধু উচ্চমাত্রার ক্রিকেটই নয়, খেলোয়াড়দের জন্য রেকর্ড বইয়ে নিজেদের নাম খোদাই করার এক সুবর্ণ সুযোগ। আসুন গুজরাট টাইটান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে যেসব মাইলফলক অর্জিত হতে পারে, তা দেখে নিই।
১) কেএল রাহুলের ৫০০০ আইপিএল রানের জন্য প্রয়োজন ৭৯ রান
কেএল রাহুল, আইপিএলের অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান, তিনি একটি অভিজাত ক্লাবে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে। তার মার্জিত স্ট্রোকপ্লে এবং শান্ত মেজাজ তাকে এই মাইলফলকের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। যদিও জিটির বিরুদ্ধে এটি না হলেও, শীঘ্রই তিনি এই অর্জন ছুঁয়ে ফেলবেন। চলতি মরসুমে তার ফর্ম দিল্লির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
২) কেএল রাহুলের ২০০ আইপিএল ছক্কার জন্য প্রয়োজন ১টি ছক্কা
পরিচ্ছন্ন হিটিংয়ের কারিগর রাহুল মাত্র একটি ছক্কার দূরত্বে ২০০ আইপিএল ছক্কার মাইলফলক থেকে। অ্যাঙ্কর এবং আক্রমণাত্মক ভূমিকার মধ্যে সহজে সুইচ করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত রাহুলের এই অর্জন তার বহুমুখী প্রতিভার প্রমাণ। জিটির বিরুদ্ধে তার ভালো রেকর্ড বিবেচনায়, আসন্ন ম্যাচে তিনি সম্ভবত এই মাইলফলক স্পর্শ করবেন।
৩) অক্ষর প্যাটেলের টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ ছক্কার জন্য প্রয়োজন ৪টি ছক্কা
দিল্লি ক্যাপিটালসের নতুন অধিনায়ক এবং স্পিন-বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ ছক্কার মাইলফলকের কাছাকাছি। তার অপ্রত্যাশিত পাওয়ার-হিটিং ক্ষমতা তাকে এই তালিকায় নিয়ে এসেছে। প্রায়শই নিচের সারিতে ব্যাট করলেও, চাপের মুহূর্তে ছক্কা হাঁকানোর দক্ষতা দিল্লির লাইনআপে গভীরতা যোগ করে। আর মাত্র চারটি বড় হিট তাকে ভারতের সবচেয়ে বিস্ফোরক অলরাউন্ডারদের তালিকায় নিয়ে যাবে।
৪) কুলদীপ যাদবের ১০০ আইপিএল উইকেটের জন্য প্রয়োজন ২টি উইকেট
কব্জি-ঘোরানো স্পিনার কুলদীপ যাদব ১০০ আইপিএল উইকেট থেকে মাত্র দুটি উইকেট দূরে। চোট এবং ফর্মের ঘাটতির সঙ্গে লড়াইয়ের পর তার এই পুনরুত্থান দিল্লির জন্য একটি উজ্জ্বল দিক। চলতি মরসুমে ইতিমধ্যে ১১টি উইকেট নিয়ে কুলদীপ এই মাইলফলক ছোঁয়ার জন্য দারুণ অবস্থানে রয়েছেন।
৫) শুভমন গিলের টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ ছক্কার জন্য প্রয়োজন ১টি ছক্কা
গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক এবং ব্যাটিংয়ের মূল স্তম্ভ শুভমন গিল টি-টোয়েন্টিতে ১৫০ ছক্কার মাইলফলক থেকে মাত্র একটি ছক্কা দূরে। তার প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং সাম্প্রতিক আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি এই অর্জনকে একটি আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত করেছে। দিল্লির বিরুদ্ধে এই হাই-স্টেক ম্যাচে এটি অর্জন করলে তার বহুমুখী, ম্যাচ জয়ী ওপেনার হিসেবে খ্যাতি আরও শক্তিশালী হবে।