মধুর প্রতিশোধ নিল মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্ট। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যায় আইএসএলের শেষ হোম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল শক্তিশালী এফসি গোয়ার সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল জোসে মোলিনার ছেলেরা। এদিন বরিস সিংয়ের করা আত্মঘাতী গোলে দল এগিয়ে গেলেও পরবর্তীতে গোল করে যান গ্ৰেগ স্টুয়ার্ট। যারফলে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেই দ্বিতীয়বারের মতো লিগ শিল্ড ঘরে তুলল সবুজ-মেরুন।
উল্লেখ্য, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম লেগে গোয়ার বিপক্ষে লড়াই করে ও পরাজিত হতে হয়েছিল বাগান ব্রিগেডকে। এবার দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে নিজেদের ঘরের মাঠে গোয়াকে টেক্কা দিল জেসন কামিন্সরা। তাছাড়া গত কয়েক ম্যাচ আগেই শিল্ড নিশ্চিত করে ফেলেছিল সবুজ-মেরুন শিবির। তবে বাকি ম্যাচগুলি জিতেই সেলিব্রেশন করার পরিকল্পনা ছিল সকল ফুটবলারদের। তাই ট্রফি নিশ্চিত হয়ে গেলেও বাকি ম্যাচগুলিকে ও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছিলেন বাগান কোচ। গত অ্যাওয়ে ম্যাচে শক্তিশালী মুম্বাই সিটি এফসির বিরুদ্ধে এগিয়ে থেকেও ড্র করতে হয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধানকে। সেই নিয়ে কিছুটা হলেও হতাশা দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। তবে ঘরের মাঠে লিগের শেষ ম্যাচ জিতেই শিল্ড জয়ের সেলিব্রেশন করার পরিকল্পনা ছিল সকলের।
সেটাই হল এবার। হিসাব অনুযায়ী দেখতে গেলে এটি আইএসএলের নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ শুরু করার আগে গোটা দলকে ঝালিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল জোসে মোলিনার। সেইমতো বেশকিছু বদল দেখা গিয়েছিল প্রথম একাদশে। গোলরক্ষক বিশাল কাইথ থেকে শুরু করে জেমি ম্যাকলারেন হোক কিংবা জেসন কামিন্স। প্রথম একাদশে ছিলেন না কোন ও ফুটবলার। তবুও প্রথম থেকেই অনবদ্য পারফরম্যান্স ছিল সবুজ-মেরুনের। তবে প্রথমার্ধে গোলের দেখা না মিললেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই যথেষ্ট আক্রমনাত্মক হয়ে উঠেছিল মোহনবাগান।
সেই ধাক্কা সামাল দিতে গিয়েই আত্মঘাতী গোল করে বসেছিলেন বরিস সিং। যা নিঃসন্দেহে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিল সকলের। পরবর্তীতে আর্মান্দো সাদিকু থেকে শুরু করে ইকের গ্যারেক্সোনা এবং বোরহা হেরেরার মতো ফুটবলাররা একাধিকবার গোলের সহজ সুযোগ তৈরি করলেও সেগুলি ফিনিশ করা সম্ভব হয়নি। নাহলে অনায়াসেই ম্যাচে ফিরে আসতে পারত এফসি গোয়া। তবে একেবারে শেষ লগ্নে বল নিয়ে প্রতি আক্রমণে উঠে আসতে শুরু করেছিলেন জেসন কামিন্স। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার সন্দেশ ঝিঙ্গান তাঁকে বাঁধা দিলে ও অনায়াসেই বল ধরে এগিয়ে গিয়ে লোয়ার শট নেন গ্ৰেগ স্টুয়ার্ট। সেখান থেকেই চলে আসে দ্বিতীয় গোল। পরবর্তীতে পাঁচ মিনিট অতিরিক্ত সময় সংযুক্ত করা হলে ও বদলায়নি ম্যাচের ফলাফল।