এবার ভারতীয় ফুটবল সংস্থার (AIFF) সভাপতি কল্যাণ চৌবেকে কেন্দ্র করে উঠে আসল একাধিক অভিযোগ। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। মূলত দুর্নীতির পাশাপাশি ব্যক্তিগত সুযোগ সুবিধা ভোগ সহ দলবাজির মতো বিষয় গুলিকে উল্লেখ করে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরে বিশেষ চিঠি প্রদান করলেন অন্ধ্রপ্রদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি গোপালকৃষ্ণ কোসারাজু।
তার অভিযোগ অনুযায়ী, দিনকয়েক আগেই সংস্থার কার্যকরী সমিতির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আগেই আসন্ন এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের বিডিং থেকে দেশের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে এআইএফএফ। উল্লেখ্য, আগামী ২০২৭ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের জন্য অনেক আগে থেকেই ইরান, কাতার ও সৌদি আরবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়াই করছিল ভারত। কিন্তু অদ্ভুতভাবে এবার সেখান থেকে নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সভাপতি কল্যাণ চৌবে।
যা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ দেখা ভারতীয় ফুটবল মহলে। এই নিয়ে অন্ধপ্রদেশ ফুটবল সংস্থার সভাপতির আরও অভিযোগ, কল্যাণ চৌবের এমন হটকারি সিদ্ধান্তের জেরে বিশ্ব ফুটবলে দুর্নাম হচ্ছে ভারতের। যারফলে, অদূর ভবিষ্যতে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের পাশাপাশি অলিম্পিকের মতো বিরাট টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে ও বিডিংয়ের সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীন হয়ে যেতে পারে। তবে এখানেই শেষ নয়। সৌদি আরব ফেডারেশনের কর্তাদের সঙ্গে এআইএফএফ সভাপতি গোপন আঁতাতের অভিযোগ ও উঠে এসেছে গোপালকৃষ্ণের চিঠিতে। সেই কারণেই নাকি বিডিং থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এআইএফএফ সভাপতি।
এছাড়াও পূর্বে, সন্তোষ ট্রফির মতো ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্টকে বিদেশের মাটিতে আয়োজনের বিরোধীতা করেছিলেন গোপালকৃষ্ণ। এবার সেই চিঠিতে সন্তোষ ট্রফির বিষয়টি ও উল্লেখ করেন তিনি। সেখানে বলা হয় এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে নাকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রক ও এআইএফএফের কার্যকরী কমিটির অনুমোদন ছাড়াই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কল্যাণ চৌবে। এক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করাই নাকি মূল লক্ষ্য ছিল এআইএফএফ সভাপতির।
তবে এখনো পর্যন্ত এই অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলেও গোপালকৃষ্ণর এইরূপ অভিযোগে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।