ISL ইতিহাসে প্রথম অমরিন্দর, ক্লিনশিটে কাইথ!

Goalkeepers in ISL History

ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL) হচ্ছে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল টুর্নামেন্ট, যেখানে বিভিন্ন দলের গোলকিপাররা (Goalkeepers) তাদের অসাধারণ দক্ষতা এবং প্রতিভা প্রদর্শন করেন। এই লিগে বেশ কয়েকজন গোলকিপার তাদের সেভ এবং গোল খাওয়ার মাধ্যমে নিজেদের এক আলাদা অবস্থান তৈরি করেছেন। এখানে আমরা আইএসএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সেভ এবং ক্লিনশিট বজায় রাখা গোলকিপারদের সম্পর্কে জানব।

Advertisements

সবচেয়ে বেশি সেভ করা গোলকিপাররা

অমরিন্দর সিং

অমরিন্দর সিং (Amrinder Singh) আইএসএলের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সেভ করা গোলকিপার। তিনি ১৮৫ ম্যাচে ৫৫৩ সেভ করেছেন এবং ২৪২টি গোল খেয়েছেন। তাঁর পারফরম্যান্সে এক দারুণ দক্ষতা এবং স্থিতিশীলতা প্রকাশ পায়। গোল খাওয়ার পরিমাণ অনেক হলেও, তাঁর সেভের সংখ্যা তাঁর অসীম দক্ষতা এবং খেলার প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে। গোলকিপার হিসেবে অমরিন্দরের দক্ষতা এবং সঠিক সময়ে সেভ করার ক্ষমতা তাঁর দলকে বেশ কয়েকবার বিপদ থেকে উদ্ধার করেছে।

গুরপ্রীত সিং সান্ধু

গুরপ্রীত সিং সান্ধু (Gurpreet Singh Sandhu), যিনি ভারতীয় জাতীয় দলের গোলকিপারও, আইএসএলের দ্বিতীয় স্থান অধিকারী। তিনি ১৬০ ম্যাচে ৪৫১ সেভ করেছেন এবং ১৮৭টি গোল খেয়েছেন। গুরপ্রীতের শারীরিক উপস্থিতি এবং তার রিফ্লেক্সন্স তাকে এই টুর্নামেন্টে এক প্রতিষ্ঠিত গোলকিপার করে তুলেছে। তিনি একজন অভিজ্ঞ গোলকিপার, যার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা তার খেলায় দৃঢ়তা নিয়ে এসেছে।

টিপি রেহনেশ

Advertisements

টিপি রেহনেশও (TP Rehenesh) আইএসএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা গোলকিপার। তিনি ১৩৯ ম্যাচে ৩৬২ সেভ করেছেন এবং ১৭৮ গোল হজম করেছেন। রেহনেশের খেলা সবসময়ই দৃঢ় মনোযোগ এবং গেম রিডিং দক্ষতায় পূর্ণ। তার সেভগুলো দলকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সুরক্ষা দিয়েছে, যার ফলে তিনি একাধিক ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

সবচেয়ে বেশি ক্লিন শিট করা গোলকিপাররা

বিশাল কাইথ

বিশাল কাইথ (Vishal Kaith) ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ক্লিন শিট করা গোলকিপারদের মধ্যে একটি অন্যতম নাম। তিনি ১৪২ ম্যাচে ৩৬২ সেভ করেছেন এবং ১৬৮ গোল খেয়েছেন। তাঁর সেভ এবং প্রতিরোধের দক্ষতা বেশ কয়েক ম্যাচে দলের জয় নিশ্চিত করেছে। কাইথের শট-স্টপিং এবং দক্ষতা তাকে একটি অন্যতম বিশ্বস্ত গোলকিপার করে তুলেছে।

ভারতীয় ফুটবলের প্রথম সারির এই টুর্নামেন্টের প্রতিটি ম্যাচে তাদের সেভ এবং গোল খাওয়ার সংখ্যা প্রমাণ করে যে, গোলকিপারের কাজ একেবারেই সহজ নয় এবং তাদের প্রভাব দলের সাফল্যের জন্য অপরিসীম।