Gautam Gambhir: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে গম্ভীরের অবদান অনস্বীকার্য

যতই চর্চা হোক, ফলের পিছনে অনেক পিতা থাকে, কিন্তু ব্যর্থতার কোনো পিতা নেই—এই প্রবাদটি বহুবার শোনা গেছে। তবে কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) এবার নিজের…

Gautam Gambhir: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ে গম্ভীরের অবদান অনস্বীকার্য

যতই চর্চা হোক, ফলের পিছনে অনেক পিতা থাকে, কিন্তু ব্যর্থতার কোনো পিতা নেই—এই প্রবাদটি বহুবার শোনা গেছে। তবে কোচ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) এবার নিজের কাজের জন্য নিজেকে তুষ্ট করতে পারেন, কারণ তিনি ভারতের দলকে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (ICC Champions Trophy 2025) জেতাতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রবিবার (৯ মার্চ) দুবাইয়ে ভারতীয় (India) দলের ঐতিহাসিক জয় এরই মধ্যে ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন ফেলেছে।

গম্ভীরের ভূমিকা নিয়ে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। যদিও অনেকেই তার পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন, তবুও তার সবার মধ্যে এটি মেনে নিতে হবে যে, গম্ভীর ভারতের এই বিশাল সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

গত জুলাইয়ে গম্ভীর যখন কোচের দায়িত্ব নেন, তখন পরিস্থিতি ছিল বেশ অস্থির। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে ভারতের ব্যর্থতার পর মিডিয়াতে নানা গুঞ্জন উঠেছিল, এমনকি বলা হয়েছিল গম্ভীর রোহিত শর্মাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরাতে চান। এর মধ্যে আরও একটি গুঞ্জন ছিল যে, গম্ভীর কোহলিকে টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চাইছেন। তবে গম্ভীর সব সময়ই রোহিত শর্মার পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাকে সমর্থন করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, রোহিত শর্মা কেবল রান নয়, বরং তার নেতৃত্বগুণ দিয়ে ভারতকে জয়ী করতে সক্ষম।

গম্ভীরের এই দৃষ্টিভঙ্গি ছিল দৃষ্টান্তমূলক এবং রবিবার (৯ মার্চ) রোহিত শর্মার তীব্র ব্যাটিং এর মাধ্যমে ভারতীয় দল যখন কিউইদের উড়িয়ে দিল, তখন তার নেতৃত্বের সফলতা আরও একবার প্রমাণিত হলো।

গম্ভীর তার কোচিং স্টাফ এবং দল এমন এক সময় পরিকল্পনা করেছিলেন যেখানে তাদের মাঠে দৃঢ়তা এবং একাত্মতার নজির ছিল। ম্যাচের আগে গম্ভীর, রোহিত এবং বিরাট কোহলির একত্রিত হওয়ার ছবিগুলি নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে এটি ছিল একটি পরিকল্পনা নির্ধারণের প্রক্রিয়া।

এখন যখন আইপিএল ২০২৫ আসছে, গম্ভীর একান্তভাবে মঞ্চের বাইরে থেকে পর্যবেক্ষণ করবেন এবং ভারতের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ—ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কঠিন টেস্ট সিরিজ—এর প্রস্তুতি পরিকল্পনা করবেন। বিশেষ করে যশপ্রীত বুমরাহের পূর্ণ স্বাস্থ্য ফিরে পাওয়ার জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডের পরিস্থিতি দুবাইয়ের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, সেখানে গতি এবং সুইং হবে প্রধান বিষয়।

Advertisements

যদিও ম্যাচ শেষে গম্ভীরকে বংশীধ্বনি করতে (ভাঙড়া নাচতে) চাপ দেওয়া হয়েছিল, তিনি হাসিমুখে প্রত্যাখ্যান করলেও একটি ‘শায়রি’ করেছেন ।

এই জয়টি গম্ভীরের জন্য বিশেষ। কোচ হিসেবে তার সফলতা স্পষ্ট।