তারকা নেই, অজুহাত নেই! ইংল্যান্ড সিরিজে কোচ হিসাবে গম্ভীরের অগ্নিপরীক্ষা

২০২৪ সালের জুলাইয়ে গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় উত্তেজনা ও বিতর্কের ঝড় ওঠে। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে…

gautam gambhir

২০২৪ সালের জুলাইয়ে গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় উত্তেজনা ও বিতর্কের ঝড় ওঠে। মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে গম্ভীরের নেতৃত্বে ভারত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে। সাদা-বলের সাফল্য তাঁকে প্রশংসা এনে দিলেও, আসল পরীক্ষা এখন লাল-বলের ক্রিকেটে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে শুভমান গিল ও ঋষভ পান্থের নেতৃত্বে তরুণ ভারতীয় দলের পাশাপাশি সবার নজর থাকবে গম্ভীরের উপর, যিনি একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়া দলকে গড়ে তুলছেন। এই সিরিজটি ভারতের জন্য নতুন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (WTC) চক্রের শুরু।

তারকা-সংস্কৃতির বিরোধী
গম্ভীর সবসময় ক্রিকেটকে দলগত খেলা হিসেবে গণ্য করেছেন, ব্যক্তিগত তারকাদের উপর নির্ভরশীলতার বিরোধিতা করে। ধারাভাষ্যকার হিসেবে তিনি মিডিয়ার তারকা-কেন্দ্রিক প্রচারণার সমালোচনা করেছেন। এবার ভাগ্যের পরিহাসে, তাঁর দল রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির মতো দুই কিংবদন্তি ছাড়াই ইংল্যান্ড বিরুদ্ধে মাঠে নামছে। গত মাসে এই দুজনেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। গম্ভীর এই পরির্বতন চেয়েছিলেন কিনা তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, এটি স্পষ্ট যে তাঁর দর্শনের প্রতিফলন এই তরুণ দল। যেখানে জসপ্রীত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা ছাড়া বড় কোনো তারকা নেই।

   

লাল-বলের চ্যালেঞ্জ
গম্ভীরের কৌশলগত দক্ষতা কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ২০২৪ সালে তৃতীয় আইপিএল শিরোপা এবং ভারতকে ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতিয়েছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছে ধাক্কা খেয়ে। নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ হার এবং নয় বছর পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফি হার গম্ভীরের জন্য বড় ধাক্কা। এই হারের ফলে ভারত ২০২৩-২৫ ডব্লিউটিসি ফাইনালে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়। সমালোচকরা বলতে শুরু করেন, গম্ভীরের কোচিং অভিজ্ঞ্জতার অভাব এবং আইপিএল-এর মেন্টর ভূমিকার বাইরে তিনি টেস্ট ক্রিকেটের জটিলতা সামলাতে পারবেন কিনা।

Advertisements

তারকা নেই, অজুহাত নেই
৪২ বছর বয়সে গম্ভীর ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধান কোচ হন। ছয় বছর আগে তিনি পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁর সহজ সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। রোহিত ও কোহলির অবসরে তাঁর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকলেও, অজুহাতের জায়গা কম। ইংল্যান্ড সিরিজ তাঁকে নতুন সুযোগ দিচ্ছে। তরুণ দলকে পাঁচ দিনের ম্যাচে জিতিয়ে গম্ভীরকে তাঁর কৌশল প্রমাণ করতে হবে।