সময়ের সাথে সাথে যথেষ্ট উন্নত হয়েছে ভারতীয় ক্লাব ফুটবল। একটা সময় ফেডারেশন কাপের পাশাপাশি আইলিগের মতো ফুটবল টুর্নামেন্টের উপর ভিত্তি করে দেশের ক্লাব ফুটবলের সমীকরণ গন্য হলেও গত ২০১৩ সাল থেকে বদলে গেছে গোটা পরিস্থিতি। শুরু হয় ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (Indian Super League)। ধীরে ধীরে যেটি প্রভাব ফেলতে শুরু করে গোটা দেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষদের মধ্যে। প্রথমদিকে সামান্য কিছু ফুটবল দল নিয়ে এটি শুরু হলেও পরবর্তীতে সিজেন যত এগিয়েছে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অংশগ্রহণকারী দল গুলির সংখ্যা। আইলিগ জয়ী বেঙ্গালুরু এফসি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে হায়দরাবাদ, জামশেদপুর এমনকি বছর তিনেক আগে কলকাতা ময়দানের অন্যতম প্রধান ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান দল আইলিগ থেকে চলে আসে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে।
তারপর থেকেই অন্য এক মাত্রা লাভ করে এই ফুটবল টুর্নামেন্ট। এমনকি গত আই লিগ মরশুমে আইলিগ জয় করার সুবাদে এবছর আইএসএল খেলছে পাঞ্জাব এফসি। তাছাড়া গত মরশুমে একের পর এক শক্তিশালী ফুটবল ক্লাবকে হারিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটিকে মোহনবাগান। সেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখে কার্যত বিস্মিত হয়ে গিয়েছিল দেশের ফুটবলপ্রেমী মানুষেরা। উল্লেখ্য, এবারের এই আইএসএল মরশুমে এখনো পর্যন্ত অনবদ্য ছন্দে রয়েছে মোহনবাগান। গত গোয়া ম্যাচে জয় লাভ করার পরেই নিজেদের তুলে এনেছে টুর্নামেন্টের প্রথম তিনে। সব ঠিকঠাক থাকলে এবছর আইএসএল ফুটবল টুর্নামেন্টের লিগ শিল্ড জয়ের হাতছানি তাদের সামনে।
এসবের মাঝেই এবার টুর্নামেন্ট নিয়ে নয়া পরিকল্পনা নিল এফএসডিএল (FSDL)। আসলে এই টুর্নামেন্টে একেবারে শুরু হওয়ার আগে মোট আটটি ক্লাবের সঙ্গে বিশেষ চুক্তি ছিল স্পোটস ডেভলপমেন্ট কমিটির পাশাপাশি সম্প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিল। যেখানে মূলত ফ্রাঞ্চাইজি ফি দিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছিল সকলকে। বছর দশেকের সেই চুক্তি এবার শেষ হওয়ার পথে। সেজন্য, এবার নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে এফএসডিএল। সেক্ষেত্রে বেঙ্গালুরু এফসির পাশাপাশি জামশেদপুর এফসি, ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব ও পাঞ্জাব এফসির মতো নিয়ম অনুযায়ী প্রবেশ করা ক্লাব গুলি ব্যাতিত অন্য প্রত্যেকটি ফুটবল দলকে নিজেদের উপার্জনের একটি অংশ এই ফুটবল কমিটিকে প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে একেবারে প্রথম থেকে থাকা ক্লাব গুলিকে এই নিয়ম বিশেষ ভাবে মেনে চলতে হবে। যদিও এই পরিমান নিয়ে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত নির্দেশিকা না এলেও, খুব শীঘ্রই তা প্রকাশ করা হবে।