Mohun Bagan Club : সেনার হানাতে ধুন্ধুমার মোহনবাগান তাঁবু, কোন কারণে ভাঙা হল নতুন স্টল

শুক্রবার সকালে এক চমকপ্রদ ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতার ময়দান (Kolkata Football)। শতাব্দী প্রাচীন সবুজ-মেরুন শিবির তথা মোহনবাগান ক্লাবের (Mohun Bagan Club) ভিতরে হটাৎই উপস্থিত সেনাবাহিনী…

Indian Army raid in Mohun Bagan Club tears down Merchandise Stall

শুক্রবার সকালে এক চমকপ্রদ ঘটনার সাক্ষী থাকল কলকাতার ময়দান (Kolkata Football)। শতাব্দী প্রাচীন সবুজ-মেরুন শিবির তথা মোহনবাগান ক্লাবের (Mohun Bagan Club) ভিতরে হটাৎই উপস্থিত সেনাবাহিনী (Indian Army)। সেনার ‘অপারেশন’ ছিল বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু ক্লাবটির বেআইনি স্থায়ী নির্মাণ। এতে ক্লাবের একটি নতুন মার্চেন্ডাইজ কিয়স্কসহ (Merchandise Stall) বেশ কিছু হোর্ডিং ও ব্যানারও ভেঙে দেওয়া হয়। এই ঘটনাটি শুধু ক্লাবের জন্য নয়, পুরো ময়দানের ফুটবল কমিউনিটির জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াল।

India vs South Africa : ফ্রিতে কোথায় দেখবেন ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ

   

এটি ঘটে যখন ক্লাবের এক অংশ গ্যালারির নিচে একটি নতুন স্থায়ী কিয়স্ক নির্মাণ করে। এই কিয়স্কে ক্লাবের লোগোসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছিল। তবে, এই নির্মাণটি সেনার অনুমতি ছাড়া করা হয়েছিল, যা ময়দানের ক্লাবগুলোতে অনুমতি না নিয়ে কোনও স্থায়ী নির্মাণ করা নিয়মবিরুদ্ধ। মোহনবাগান কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছিলেন যে, কিয়স্কটি তাদের ব্যবসায়িক প্রয়োজনে এবং ক্লাবের সেবা প্রদান করার উদ্দেশ্যেই নির্মিত হয়েছিল, তবে সেনা নিয়ম মেনে কাজ করতে আদেশ দেয়।

কলকাতার ময়দানে কোনও ক্লাবই সেনাবাহিনীর অনুমতি ছাড়া কোনও স্থায়ী নির্মাণ করতে পারে না। সেনাবাহিনী যেসব স্থায়ী নির্মাণ দেখতে পায় যা অনুমতি ছাড়া হয়েছে, সেগুলি অবিলম্বে ভেঙে দেওয়া হয়। এই নিয়মের কারণ হলো, ময়দানের ভূমি সেনাবাহিনীর অধীনে থাকে এবং এর ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী সক্রিয় থাকে।

KKR : নিলামে দর উঠল ১৮.৭৫ কোটি, নাইট শিবিরে আসছেন ঋষভ পন্থ!

সেনার অনুমতি না নিয়ে মোহনবাগানের নতুন কিয়স্ক নির্মাণের ঘটনা একটি বড় সমস্যা সৃষ্টি করেছে। অতিরিক্ত নির্মাণ হোর্ডিং বা ব্যানার লাগানো হলে সেনাবাহিনী তা সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। সেনার এই ‘অপারেশন’ ক্লাবের ব্যবসায়িক স্বার্থের জন্য একটি বড় আঘাত হলেও, এটি কিছুটা আইনগত প্রয়োজনীয়তা হিসেবেই দেখা যেতে পারে।

মোহনবাগান ক্লাবের কর্তারা এই ঘটনায় বেশ হতাশ এবং তারা এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে চাননি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তবে কিয়স্ক ভাঙার প্রক্রিয়া থামানো সম্ভব হয়নি। এটি তাদের জন্য বড় এক বিপর্যয় হতে পারে, কারণ ক্লাবটি গত বুধবার বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে মার্চেন্ডাইজ বিক্রি অন্যতম।