স্ত্রীর ইচ্ছে পূরণে দেবী আরাধনায় ফুটবলার মেহতাব হোসেন

কথায় আছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই মেতে ওঠেন এই উৎসবে। এবার দেখা গেল সেই…

Durga Puja স্ত্রীর ইচ্ছে পূরণে দেবী আরাধনায় ফুটবলার মেহতাব হোসেন

কথায় আছে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। দরজায় কড়া নাড়ছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই মেতে ওঠেন এই উৎসবে। এবার দেখা গেল সেই রকমই এক চিত্র। স্ত্রীর বহুদিনের ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়েই বাড়িতে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আয়োজন করলেন ময়দানের এই প্রাক্তন তারকা ফুটবলার।

আরও পড়ুন : দেবী পক্ষে ২০০ জন অনাথ শিশুর পাশে দাঁড়ালেন বাংলার মহারাজ

   

দম্পতির ধর্ম আলাদা। তবে স্ত্রীর ইচ্ছা পূরণে এই প্রথম বছর নিজের বাড়িতেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করছেন বাংলার প্রধান দুই ক্লাবের হয়ে খেলা মেহতাব হোসেন (Mehtab Hossain)। তাঁর নিউ টাউনের বাড়িতেই হবে দেবীর আরাধনা (Durga Puja)। ইতিমধ্যেই তাঁর বাড়িতে চলে এসেছে দেবীর প্রতিমা। ষষ্ঠীর বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হল দুর্গা পুজো। ইতিমধ্যে প্রাক্তন সতীর্থ থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধবদের আমন্ত্রণও সেরে ফেলেছেন। ফলে পুজোর এই কয়েকটা দিন ময়দানের না না পরিচিত মুখকে দেখা যাবে তাঁর বাড়ির পুজোয়। বাঙালি সাজেও দেখা যাবে মেহতাবকে।

আরও পড়ুন : লাল-হলুদ ছেড়ে পাহাড়ের ক্লাবে যোগ দিলেন এই তরুণ ফুটবলারের

দুর্গাপুজো করা প্রসঙ্গে মেহতাব জানান, ‘বাড়িতে দুর্গাপুজো করার ইচ্ছে ছিল মৌমিতার। ও আমাকে পুজোর কথা বলতেই আমি রাজি হয়ে যাই। পুজো সবার। আমি কোনও জাতি, ধর্ম মানি না। ঈদের উৎসবে মৌমিতা আমাদের সঙ্গে সামিল হয়। আমরাও দুর্গাপুজোয় আনন্দ করি। শেষপর্যন্ত এবছর বাড়িতে পুজো আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে। সমস্ত রীতি মেনেই পুজো হবে।”

আরও পড়ুন : পুজোর আগেই এএফসির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্ফোরক বাগান সচিব

মেহতাবের সুরেই মৌমিতাও বলেন, ‘আমিও তো একজন মহিলা। আর জি কর কাণ্ড আমাকে গভীরভাবে আহত করেছে। সেই কারণে প্রথমবার বড় করে পুজোটা করবে ভাবলেও, সিদ্ধান্ত বদল করি। মায়ের কাছে চাইব সুবিচার হোক। আর আমার কাছে হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই। এই ধর্মের বিভেদ আমি মানি না।’ তাই বাড়িতে প্রথম বছর নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজিত তারকা ফুটবলার। প্রসঙ্গত, ময়দানের দুই প্রধান ক্লাবের হয়ে খেলেন মেহতাব।