বিগত কয়েক মরসুমে কলকাতা ময়দানে যথেষ্ট পরিচিতি পেয়ে ছিলেন সুমিত রাঠি (Sumit Rathi)। জুনিয়র দলের পাশাপাশি সিনিয়র দলের ক্ষেত্রে ও নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন কয়েকবার। কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হয়নি সেই সমস্ত মুহূর্ত গুলি। আসলে ময়দানের এই প্রধানের একাদশে নিজেকে ধরে রাখা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। মাঝে তাঁর দল ছাড়ার বিষয়ে বহু জল্পনা কল্পনা তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত নিজের প্রিয় ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই ভারতীয় ডিফেন্ডার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বয়স বাড়লেও নিজের প্রত্যাশা মতো সুযোগ পাননি দলের মধ্যে।
যেটা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল এই ফুটবলারকে। আসলে দলের জার্সিতে মাঠে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার লক্ষ্য থাকে প্রত্যেক ফুটবলারের। তবে সবসময় সেটা সঠিকভাবে পাওয়া সম্ভব হয়না প্রত্যেক ফুটবলারের পক্ষে। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও দল বদল করতে হয়। মূলত অধিক ম্যাচ টাইম পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবলে দল বদলের এমন উদাহরণ প্রচুর রয়েছে। মাঠে নামার জন্য বড় ক্লাব ছাড়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বহু খেলোয়াড়কে। সেই পথেই হেঁটে ছিলেন সুমিত রাঠি। প্রিয় দলের জার্সিতে মাঠে নেমে নিজের জাত চেনানোর পরিকল্পনা থাকলেও খুব একটা সুযোগ পাননি উত্তর প্রদেশের এই ফুটবলার।
সেই সমস্ত কিছু মাথায় রেখেই কলকাতা ময়দানের এই প্রধান ছেড়ে অন্যত্র যোগ দিয়েছিলেন সুমিত। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে তাঁকে দলে টেনে নিয়েছিল হুয়ান পেদ্রো বেনালির নর্থইস্ট ইউনাইটেড। কিন্তু শেষ সিজনে খুব একটা সুযোগ পাননি এই ভারতীয় ফুটবলার। জন আব্রাহামের এই ফুটবল ক্লাবের হয়ে খেলতে পেরেছিলেন মাত্র একটি ম্যাচ। কলিঙ্গ সুপার কাপে দলের স্কোয়াডে থাকলেও মাঠে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। সেই দিক নজরে রেখেই গত বৃহস্পতিবার নিজের সোশ্যাল সাইটে সেই কথা উল্লেখ করেছিলেন বাগানের এই প্রাক্তন ফুটবলার।
তবে নতুন সিজনে আদৌও কোথায় যোগদান করবেন সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি। মনে করা হচ্ছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই হয়তো নতুন কোনও ফুটবল ক্লাবে যোগদান করার কথা জানিয়ে দেবেন উত্তরপ্রদেশের এই সেন্টার ব্যাক।