৭১ বছর বয়সে ক্যান্সারের কাছে বোল্ড হতে হল প্রখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার অংশুমান গায়কোয়াড়কে। মারণ কর্কট রোগের সঙ্গে দীর্ঘ লড়ায়ের পরে বুধবারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই প্রবীণ ক্রিকেটার। ভারতীয় ক্রিকেট জগতে শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নয় কোচ হিসাবেও সুনাম করিয়েছিলেন তিনি। মারণ রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের পাশে পেয়েছিলেন একদা সতীর্থ এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও। কিন্তু শেষমেষ লড়াই থামলো একাত্তরে।
২২ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৪০টি টেস্ট এবং ১৫ টি ওয়ানডে খেলেছেন গায়কোয়াড়। খেলেছেন ২০৫টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ। ১৯৯৮ সালে ভারতীয় কোচের দায়িত্ব নিয়ে তাঁর হাত ধরেই আসে শারজা এবং ফিরোজ শাহ কোটলায় সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ১৯৯৯ সালে তাঁর তত্ত্বাবধানেই অনিল কুম্বলের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই ঐতিহাসিক ১০ উইকেট এর রেকর্ড কায়েম হয়েছিল।
বেশ কয়েক বছর যাবৎ ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন এই প্রখ্যাত ক্রিকেটার। চিকিৎসার জন্য বেশ কিছুদিন ছিলেন বিদেশেও। লন্ডনের কিংস কলেজ হাসপাতালে চলছিল তাঁর চিকিৎসা। কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলও অংশুমান এর চিকিৎসার জন্য পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। তাদের বিভিন্ন ব্যবহার যে জিনিসপত্র নিলামে তোলা হয়েছিল এই প্রখ্যাত ক্রিকেটারের চিকিৎসার খরচের সংস্থানের জন্য। পরবর্তীকালে বিসিসিআই তাদের বিশেষ ফান্ড থেকে এক কোটি টাকা অংশুমান গায়কোয়াড়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্য হিসেবে পাঠিয়েছিল।
সারা দেশ জুড়ে একাধিক অনুরাগী, দীর্ঘদিনের সতীর্থ এবং ক্রিকেট দুনিয়ার বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের শুভেচ্ছা এবং সহমর্মিতার বার্তা বারবার পেয়েছেন অংশুমান। কিন্তু এবার সে সবকিছু ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই প্রখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার। ক্রিকেট মাঠে বহুবার নট আউট ছিলেন। কিন্তু ক্যান্সারের সাথে অসম লড়াইয়ে ৭১ বছর বয়সে এসে বোল্ড আউট হলেন অংশুমান। না ফেরার দেশে গিয়েও ক্রিকেট মাঠের স্মৃতির মণিকোঠায় অমলিন হয়ে থেকে যাবে তাঁর নাম।