গত আইএসএলে ও খুব একটা সফল হয়নি মশাল (East Bengal) ব্রিগেড। শুরুটা কিছুটা চলনসই থাকলেও ম্যাচ যত এগিয়েছে ক্রমশ মুখ থুবড়ে পড়েছে দল। যারফলে, পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে থেকেই নিজেদের অভিযান শেষ করেছে ইস্টবেঙ্গল। সেইসাথে যুক্ত হয়েছে টানা আটবার ডার্বি হারার যন্ত্রনা।
এই পরিস্থিতিতে টুর্নামেন্ট শেষ হতেই তড়িঘড়ি নিজেদের লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসেন সাবেক ক্লাব কর্তারা। উভয়ের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে এবার ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কন্সট্যান্টাইন কে বিদায় জানিয়ে কোনো সফল কে দেওয়া হবে দলের দায়িত্ব।
সেইমতো সার্জিও লোবেরার পাশাপাশি একাধিক হাইপ্রোফাইল কোচের নাম ভেসে আসতে শুরু করে ময়দান চত্বরে। শেষ পর্যন্ত গত ২৫ এপ্রিল ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ কে বিদায় জানিয়ে কার্লোস কুয়াদ্রাতের হাতে তুলে দেওয়া হয় দলের দায়িত্ব। একটা সময় যার কাঁধে ভর দিয়ে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বেঙ্গালুরু এফসি। এমনকি তাদের ফেডকাপ জয় করার ক্ষেত্রে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই স্প্যানিশ কোচের।
এবার তার উপর ভরসা রেখেই সাফল্যের সরনীতে ফিরতে চায় ইস্টবেঙ্গল শিবির। তা দেখে আপামর লাল-হলুদ জনতার মধ্যে খুশির আমেজ ভেসে আসলেও বর্তমানে দল গঠন নিয়ে চিন্তিত প্রায় সকলেই। আসলে, একাধিক দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের নাম ভেসে আসার পাশাপাশি আগামী মরশুমে তাদের ইস্টবেঙ্গলে খেলার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি কোনো কিছুই।
গতকাল লাল-হলুদের লাউঞ্জের উদ্বোধনে এসে এই নিয়েই আক্ষেপের সুর ভেসে আসতে থাকে দলের প্রাক্তনীদের গলা থেকে। আগামী মরশুম প্রসঙ্গে সমরেশ চৌধুরী বলেন, এবারের আইএসএলে নয় নম্বরে শেষ করেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এখনও যা পরিস্থিতি তাতে আগামী মরশুমে ও হয়ত দলের ফলাফলে খুব একটা পার্থক্য দেখা যাবে না।
একই ভাবনা দলের আরো তিন তারকা যথা ভাস্কর গাঙ্গুলী ও বিকাশ পাঁজি ও সুমিত মুখোপাধ্যায়ের। তাদের বক্তব্য,আমাদের তরফ থেকে খেলোয়াড়দের যে তালিকা পাঠানো হয়েছিল তা আদৌও কতটা গুরুত্ব দেওয়া হয় সেটাই দেখার।
বলতে গেলে সব মিলিয়ে একেবারে ধোঁয়াশায় লাল-হলুদের দল গঠন।