বনধের উত্তেজনার মধ্যেও হয়েছিল ম্যাচ, ১৮ তারিখের পরিস্থিতি ‘বেনজির’

প্রীতম সাঁতরা, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে শুরু হওয়ার প্রতিবাদের আঁচ খেলার মাঠে। ১৮ অগস্ট রবিবার মোহনবাগান (Mohun Bagan) -ইস্টবেঙ্গল ডার্বি হওয়ার কথা ছিল। ম্যাচ…

Mohun Bagan

প্রীতম সাঁতরা, কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে শুরু হওয়ার প্রতিবাদের আঁচ খেলার মাঠে। ১৮ অগস্ট রবিবার মোহনবাগান (Mohun Bagan) -ইস্টবেঙ্গল ডার্বি হওয়ার কথা ছিল। ম্যাচ হয়নি, বাতিল। এরপর গ্যালারির বদলে যুবভারতী চত্বরকে বেছে নিয়েছিলেন প্রতিবাদী ফুটবল সমর্থকদের একাংশ। পুলিশের পক্ষ থেকে আশংকা করা হয়েছিল প্রতিবাদীদের ভিড়ের সঙ্গে মিশে গিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে। সেই আশংকা থেকে জারি করা হয় ১৬৩ ধারা, যুবভারতী চত্বরে নিষিদ্ধ জমায়েত। জমায়েত হয়েছিল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য রাস্তায় নামানো হয়েছে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী।

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে যখন তপ্ত পরিস্থিতি তখন আরজি করের সামনে ট্রাফিক সচল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে করা হচ্ছিল মাইকিং। হাসপাপাতালের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী। দাঁড়িয়ে পুলিশের গাড়ি, ভ্যান। উধাও রবিবারে শ্যামবাজারের চেনা ভিড়।

   

নিরাপত্তার কারণে ম্যাচ বাতিল করার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না বাংলার ফুটবল প্রেমীদের একাংশ। অতীতেও কি এমন কোনও ঘটমার সাক্ষী থেকেছিল ময়দান? এ ব্যাপারে কথা হচ্ছিল পরিসংখ্যানবিদ গৌতম রায়ের সঙ্গে। তিনি জানালেন ১৯৬৫ সালের একটি ঘটনার কথা- মোহনবাগান বনাম বিএনআর-এর ম্যাচ। সে দিন বনধের ডাকা হয়েছিল। বামেদের পক্ষ থেকে বনধ ডাকা হয়েছিল। ক্ষমতায় তখন কংগ্রেস, প্রফুল্ল সেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বনধের দিনেই বিএনআর-কে হারিয়ে কলকাতা ফুটবল লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। গৌতম রায় সঙ্গে এটাও জানিয়েছেন, সেদিনের ঘটনা আর আজকের (১৮ অগস্ট) ঘটনা এক নয়।

মাঠের বাইরের কোনও ঘটনাকে কেন্দ্র করে এর আগে কি কখনও এতটা উত্তপ্ত হয়েছিল ময়দান? অলোক মুখার্জি এরকম কোনও ঘটনা মনে করতে পারলেন না। তিনি বললেন, “এরকম পরিস্থিতি এই প্রথম দেখছি। আমাদের সময় এরকম কোনও ঘটনার মুখে পড়তে হয়নি। আমি রাজনীতির লোক নই, রাজনীতি বুঝি না। কিন্তু তখন রাজনীতি এরকম ছিল না। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্য। একটা অরাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে।”