গত ২৮ জানুয়ারি সার্জিও লোবেরার ওডিশা এফসিকে পরাজিত করে কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ক্লাব। সেই নিয়ে এখনো আনন্দের আমেজ থেকে গিয়েছে লাল-হলুদ জনতার মধ্যে। বলতে গেলে, প্রায় ১২ বছরের অপেক্ষার পর জাতীয় স্তরের ট্রফি এসেছে লেসলি ক্লডিয়াস সরনীতে। সেই ঘোর এখনো কিছুতেই কাটতে চাইছে না কারুর।
সেই সাথে দলের এই অভূতপূর্ব সাফল্যে সুবাদে গত দুইদিন খেলোয়াড়দের ছুটি দিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত। যারফলে, আগামীকাল থেকে আইএসএলের দ্বিতীয় লেগের প্রস্তুতি শুরু করবে ইস্টবেঙ্গল। তবে এত আনন্দের মধ্যেও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল বোরহা হেরেরার বিদায় বার্তা।
নিজের বিদায় নিশ্চিত জেনে ও সবটা উজাড় করে দিয়েছেন লাল-হলুদের জন্য। তাদের এই অনবদ্য পারফরম্যান্সের দরুন ওডিশার মতো হেভিওয়েট দলকে টেক্কা দিতে সক্ষম হয়েছে মশাল ব্রিগেড। তার চলে যাওয়া কিছুটা হলেও যেন হতাশ করেছে সমর্থকদের। আসলে বোরহা হেরেরার তত্ত্বাবধানে মাঝ মাঠে এক আলাদাই শক্তি পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ডার্বি জয় থেকে শুরু করে ট্রফি জয়। সব ক্ষেত্রেই তার গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। কিন্তু কোচ ও ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছর লোনের দরুন এফসি গোয়ায় চলে যেতে হয়েছে এই স্প্যানিশ তারকাকে। স্বাভাবিকভাবেই তার বিকল্প হিসেবে ঠিক কে আসবেন তা নিয়ে জল্পনাও রীতিমতো দেখা দিয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে। তবে এবার অপেক্ষার অবসান।
লাল-হলুদের সই করেছেন ভিক্টর ভাসকুয়েজ। একটা সময় বার্সেলোনার মত দলের হয়েও ফুটবল খেলেছেন তিনি। পরবর্তীতে খেলেন টরেন্টো এফসিতে। এবার তাকেই দলে নিলেন কার্লোস কুয়াদ্রাত। খুব তাড়াতাড়ি এই বিদেশিকে দলে আনতে চাইছে কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। ঘন্টাকয়েক আগে নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ক্লাব এবং এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত কে নিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। যা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় সমস্ত কিছু।