সুপার কাপের হাইভোল্টেজ ডার্বি। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan vs East Bengal)। ময়দানের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই মানেই আবেগ, গ্যালারি ভরা উত্তেজনা আর মাঠজুড়ে টানটান প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আইএফএ শিল্ড ফাইনালের নাটকীয় টাইব্রেকারের রেশ কাটতে না কাটতেই আবার মুখোমুখি দুই ঐতিহ্যবাহী দল। সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিতের লড়াইয়েও আজ কোনো দল এক ইঞ্চি জমি ছাড়ছে না।
প্রথমার্ধের খেলা ছিল দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, কিন্তু গোলশূন্য। ৪৫ মিনিটে দুই দলেরই বেশ কিছু সুযোগ তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত জালের দেখা মেলেনি। ২ মিনিটেই প্রথম বিপদ তৈরি করে ইস্টবেঙ্গল। ডানদিক দিয়ে রাকিপ বল কেড়ে নিয়ে মিগুয়েলের কাছে পাস দেন, কিন্তু মিগুয়েলের শট আলবার্টের পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। মোহনবাগান আপাতত বেঁচে যায়।
৬ মিনিটে মাহেশকে ফাউল করা নিয়ে ইস্টবেঙ্গলের দাবি প্রত্যাখ্যান করেন রেফারি হরিশ কুন্ডু। গোলে না পেয়ে আরও চঞ্চল হয় লাল-হলুদরা।১৪ মিনিট পর্যন্ত বল দখল ও আক্রমণের দিক দিয়ে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান তখনও ছন্দ খুঁজছে। তবে ১৯ মিনিটে মনভীরের নিচু ক্রস থেকে ম্যাকলারেনের শটের চেষ্টায় কিছুটা প্রাণ ফিরে আসে সবুজ-মেরুন শিবিরে।
২৪ মিনিটে ম্যাচের সেরা সুযোগ পায় ইস্টবেঙ্গল। মিগুয়েলের নিখুঁত ক্রসে বিপিন সিংয়ের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে, টিভির স্কিন থেকে গ্যালারিতে তখন নিঃশ্বাস বন্ধ করা মুহূর্ত।
তার পরপরই ম্যাচের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেন রেফারি। ২৬ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের মিগুয়েল ও মোহনবাগানের শুভাশীষকে দুজনকেই দেখানো হয় হলুদ কার্ড। পরে মাহেশকেও (৩৪’) বাগড়া দেওয়া আচরণের জন্য সতর্ক করা হয়।
শেষ দিকে (৪১’) লিস্টনের পাস থেকে আপুয়া জোরালো শট নেন, কিন্তু ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার তা ধরে ফেলেন। এক মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে মিগুয়েলের কোণাকুণি শট দারুণভাবে বাঁচিয়ে দেন মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ।
রেফারির বাঁশি বাজতেই প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। তবে উত্তেজনা এতটুকু কমেনি। বিপিন সিংয়ের হেডে পোস্টে লেগে ফিরে আসা বল, মিগুয়েলের একাধিক প্রচেষ্টা আর দুই দলের ডিফেন্সের দৃঢ়তা। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে ডার্বির আবহ।
HT | Yet to break the deadlock, but a spirited display in the first half! 👊
Let’s finish the job, polas! ⚡#JoyEastBengal #AIFFSuperCup #KolkataDerby pic.twitter.com/sOlOhzCV3u
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) October 31, 2025



