আইএসএল কবে হবে, ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সেই বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট বার্তা নেই। এমন অনিশ্চয়তার মধ্যেই গোয়ার সবুজ মাঠে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে সুপার কাপ (Super Cup) ফুটবল। আর এই টুর্নামেন্ট ঘিরেই নতুন করে উন্মাদনা দুই প্রধান। মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। সদ্য আইএফএ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। অন্যদিকে, ফাইনালে হার এবং মাঠের বাইরের নানা বিতর্কে অশান্ত লাল-হলুদ শিবিরের সামনে এখন সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা এই সুপার কাপ।

ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজো জানেন, এই টুর্নামেন্টই সম্ভবত তাঁর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। শিল্ডে মোহনবাগানের কাছে পরাজয় এবং ক্লাবের ভিতরে সন্দীপ নন্দী বিতর্কের পর। তাই ডেম্পোর বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ থেকেই জয়ের ছন্দে ফিরতে মরিয়া স্প্যানিশ কোচ অস্কার ও তাঁর ছেলেরা।
গোয়ার আবহাওয়া ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেকটা আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল দল। সকাল-সন্ধ্যা অনুশীলনে ব্যস্ত তারা। অন্যদিকে, মোহনবাগান বৃহস্পতিবার উড়ে গেছে গোয়ায়। শিল্ড জয়ের উচ্ছ্বাস এখনও চোখে মুখে থাকলেও, কোচ হোসে মোলিনা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, সুপার কাপ একেবারে নতুন চ্যালেঞ্জ। তিনি জানিয়েছেন, “শিল্ডের জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু এখন সব শুরু হচ্ছে শূন্য থেকেন।”
চার্চিলের এই ডিফেন্ডারকে দলে টানল আইলিগের এই দল
শনিবার বিকেলে প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ ডেম্পো। পাঁচবারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন এই ক্লাব এখন অতীতের ছায়ামাত্র। রিয়াল কাশ্মীর দল গঠন করতে না পারায় শেষ মুহূর্তে ফেডারেশন ডেম্পোকে সুযোগ দিয়েছে। ঘরোয়া ফুটবলারদের নিয়েই দল গড়া হয়েছে, ফলে লাল-হলুদের জন্য প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। তবে অস্করের সতর্কবার্তা , “ডেম্পো নিজের মাটিতে খেলবে, তাদের হালকা করে দেখা বিপজ্জনক হতে পারে।”
রাত সাড়ে সাতটায় মাঠে নামবে মোহনবাগান। তাদের প্রথম প্রতিপক্ষ চেন্নাইয়িন এফসি।আইএফএ শিল্ডে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে এবং অভিজ্ঞ বিদেশিদের পাশাপাশি তরুণ ভারতীয় ফুটবলারদের পারফরম্যান্সও নজর কেড়েছে বাগান ব্রিগেড। ফলে হোসে মোলিনার ছেলেদের প্রথম ম্যাচেই কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। প্রথম ম্যাচ থেকেই জয় তুলে নিয়ে আত্মবিশ্বাসের ভিত মজবুত করা মরিয়া কলকাতা ময়দানের এই প্রধান ।
তবে গোয়া সুপার কাপে আসল আকর্ষণ নিঃসন্দেহে ৩১ অক্টোবরের ডার্বি। সেই দিনই মুখোমুখি হবে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। কলকাতার বাইরে হলেও এই ম্যাচের আবেগ, উত্তাপ বা চাপ কোনও অংশে কম নয়। শিল্ড ফাইনালের হারের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া অস্কার ব্রুজো। অন্যদিকে, হোসে মোলিনার দল চাইবে জয়ের ধারায় থেকে ট্রফির পথে এগিয়ে যেতে।


