সুপার কাপ চলাকালীন ( Sunil Chhetri) বেঙ্গালুরু এফসির প্রধান কোচ জেরার্ড জারাগোজা ভারতের সাম্প্রতিক ব্যর্থতার পর জাতীয় দলের কৌশল নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন। বিশেষ করে, দলের অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ ফুটবলার সুনীল ছেত্রীকে একমাত্র স্ট্রাইকার হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
২০২৭ এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব থেকে ভারতের বিদায়ের পর বেঙ্গালুরুর কোচ বলেন, “ছেত্রী কি কখনও বেঙ্গালুরুর হয়ে ফার্স্ট স্ট্রাইকার হিসেবে খেলেছে? আমি জানতে চাই, ও কি সত্যিই স্ট্রাইকার? যদি আপনি ওকে একা সামনে খেলান, তবে সে নিজের কাজটা করতে পারবে না।”
ভারতের এশিয়ান কাপ অভিযান শেষ হয়েছে সিঙ্গাপুরের কাছে ১-২ ব্যবধানে পরাজিত হয়ে। তার আগে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডেও উঠতে পারেনি ব্লু টাইগারস। ধারাবাহিক ব্যর্থতা ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সমর্থকদের মধ্যে।
অন্যদিকে, ছেত্রী ক্লাব পর্যায়ে দারুণ ফর্মে ছিলেন। গত আইএসএল মরশুমে বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে ৩৪ ম্যাচে ১৭ গোল ও ৪টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। সেই পারফরম্যান্সের জোরেই তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরে আসেন। কিন্তু জাতীয় দলে ফিরে এসে একই ধারায় খেলতে পারেননি ৪১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
জেরার্ড জারাগোজা আরও বলেন, “আমার মনে প্রশ্ন জাগে, ছেত্রীর ১৪ গোলের মধ্যে কোনোটা কি সত্যিকারের নাম্বার ৯ পজিশনে ছিল? সে তো প্রচলিত স্ট্রাইকার নয়।” যদিও মলদ্বীপের বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে তিনি গোল করেছিলেন, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় তিনি গোলশূন্য থেকে যান। ফলে তাঁর পজিশন ও ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
ভারতের জাতীয় কোচ খালিদ জামিলের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক বিশেষজ্ঞও। তারা মনে করেন, অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে ব্যবহার না করার ফলেই ভারত টানা দুটি বড় টুর্নামেন্টে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এখন মূল প্রশ্ন, ৪১ বছরের সুনীল ছেত্রীকে জাতীয় দলে কীভাবে ব্যবহার করা উচিত? তিনি কি আবার নিজের সেরা জায়গায় ফিরতে পারবেন, নাকি ভারতের আক্রমণভাগে নতুন রণনীতি গঠন করতে হবে?




