ভারতীয় ফুটবল মহলে অন্যতম সফল কোচদের একজন সঞ্জয় সেন (Sanjoy Sen)। দেশের ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি সন্তোষ ট্রফির মত গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে ও সাফল্য পেয়েছেন এই বাঙালি কোচ। বলতে গেলে যেখানেই হাত দিয়েছেন সেখানেই যেন সোনা ফলিয়েছেন বারংবার। একটা সময় ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবের দায়িত্ব গ্রহণের মধ্য দিয়ে কলকাতা ময়দানে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সকলকে। বলাবাহুল্য, তাঁর তত্ত্বাবধানে সেবার অনবদ্য ফুটবল খেলেছিল বাংলার এই দল। তারপর পৈলান অ্যারোজের পাশাপাশি কোচিং করিয়েছেন কলকাতা ময়দানের অন্যতম দুই প্রধানে।
বিশেষ করে শেখ জামাল ধানমন্ডিকে পরাজিত করে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের আইএফএ শিল্ড জয়ের ইতিহাস আজও অমলীন বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। সেখানে ও ব্যাপক সক্রিয়তা ছিল সঞ্জয় সেনের। তারপর থেকেই কলকাতা ময়দানের বুকে এই বাঙালি কোচকে ঘিরে উৎসাহ আরও বাড়তে থাকে ফুটবল অনুরাগীদের। সময় বদলের সাথে সাথেই সাদা-কালো ব্রিগেড ছেড়ে দায়িত্ব পান আরেক প্রধান মোহনবাগানের। এবার সুভাষ ভৌমিকের অসমাপ্ত কাজ করে যান সঞ্জয় সেন। মোহনবাগানকে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন করে বাগান জনতার নয়নের মনি হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
এছাড়াও তৎকালীন সর্বভারতীয় কাপ টুর্নামেন্ট তথা ফেডারেশন কাপ ও জিতেছিলেন এই দলে। সময় বদলের সাথে সাথে পরিস্থিতির বদল ঘটেছে। বদলেছে এই বাঙালি কোচের অবস্থান। আইএসএলে ও যথেষ্ট সক্রিয়তা থাকলেও গত মরসুমে রঞ্জন চৌধুরীর পরিবর্তে বাংলা দলের দায়িত্ব উঠে এই বাঙালি কোচের কাঁধে। আবার সাফল্য। অনবদ্য পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে প্রায় বহু বছর পর এই ঐতিহ্যবাহী টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলা দল। শক্তিশালী কেরালা দলকে অনায়াসেই পরাজিত করেছিল রবি হাঁসদা থেকে শুরু করে ইসরাফিল দেওয়ানরা।
এমন অভূতপূর্ব সাফল্যের দরুন বেশ কয়েক মাস আগেই তাঁকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করেছিল ময়দানের দুই প্রধান। এমনকি সুযোগ পেলে আরেক প্রধানের হয়ে সুদে আসলে সব পুষিয়ে দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন সঞ্জয় সেন। তবে গতবারের পর এবার ও সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার ভরসা সঞ্জয় সেনে। কিছুক্ষণ আগেই জানা গিয়েছে সেই কথা। যারফলে এবারও বাংলার ফুটবল দলের ব্যাটন থাকছে এই বাঙালি কোচের হাতেই। যতদূর খবর, চলতি মাসের শেষের দিকে শুরু হয়ে যাবে ট্রায়াল। যেদিকে নজর থাকবে বাংলার ফুটবল অনুরাগীদের।


