এবারের এই ফুটবল মরসুমের শুরুতে ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal FC) দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল সন্দীপ নন্দীর হাতে। এক্ষেত্রে হেড কোচ অস্কার ব্রুজোর সাথেই দলের গোলরক্ষক কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন এই প্রাক্তন তারকা। সেই নিয়ে যথেষ্ট খুশি ছিলেন সমর্থকরা। মনে করা হয়েছিল এবার হয়তো সুদিন ফিরবে লাল-হলুদের। কিন্তু ডুরান্ড কাপের পর এবারের এই ঐতিহাসিক শিল্ডের ফাইনালের পরেই হল ছন্দ পতন। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে শিল্ডের ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)।
যেখানে প্রথম থেকেই যথেষ্ট দাপটের সাথে খেলতে শুরু করেছিল ময়দানের এই প্রধান। এমনকি প্রথমার্ধের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে হামিদ আহদাদের করা গোলে এগিয়ে ও গিয়েছিল মশাল ব্রিগেড। কিন্তু সেই অগ্ৰগমন বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না। পরবর্তীতে আপুইয়ার গোলে সমতায় ফিরেছিল মোহনবাগান। তারপর নির্ধারিত নব্বই মিনিট ছাড়িয়ে অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত খেলা গড়িয়ে গেলে ও বদলায়নি ম্যাচের ফলাফল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে বাজিমাত করেছিল সবুজ-মেরুন। এক্ষেত্রে পেনাল্টি শ্যুট আউট বাঁচানোর ক্ষেত্রে প্রভসুখান সিং গিলকে সরিয়ে দেবজিত মজুমদারকে মাঠে নামিয়ে ছিলেন কোচ।
কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বরং পাঁচটি শটের একটিও আটকাতে পারেননি দেবজিত। সেই নিয়ে দেখা দিয়েছিল যাবতীয় বিতর্ক। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে সব দোষ নিজের দিকে টেনে নিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজো। পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে গোলরক্ষক পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে ও বিস্তর উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তারপরেই আজ সকালে সুপার কাপ খেলার উদ্দেশ্যে গোয়ায় উড়ে গিয়েছে লাল-হলুদ শিবির। সেখানেই বিমানবন্দরে কোচের সঙ্গে মনোমালিন্য জড়িয়ে পড়েছিলেন সন্দীপ নন্দী। তারপরেই বদলে যায় গোটা পরিস্থিতি।
East Bengal FC and Goalkeeping Coach, Sandip Nandy, have mutually agreed to part ways. 🤝
The club respects Mr Nandy for his invaluable contributions as a player, and for his efforts during his coaching stint. 🔴🟡 pic.twitter.com/WS5yRqQZr0
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) October 20, 2025
কোচের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে এবার নিজের পদ থেকেই ইস্তফা দেন এই গোলরক্ষক কোচ। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal FC) আমার নাম প্রস্তাব করেছিল তাই প্রথম দিন থেকে সন্দেহ করা হতো আমি ক্লাব অফিসিয়ালদের কাছে খবর ফাঁস করছি।” তিনি আরও বলেন, ” এত খারাপ অভিজ্ঞতা আমার কখনও হয়নি। ২দিন আগের ঘটনা টেনে এনে কী অপমানটাই না করলেন। গোয়ায় বিমানবন্দরে নামার পরে আমি কোচকে গুড মর্নিং বলেছিলাম, তখন উনি হঠাৎ করে আমাকে যা তা বলতে শুরু করেন। পুরো টিমের সামনে। তখন প্লেয়াররাও সবাই ছিল। শিল্ডের ফাইনালে হারের দায় আমি নিয়েছি। তার জন্য কোচকে সরিও বলেছি। কিন্তু হঠাৎ করে সবার সামনে আমাকে যা তা বলার পর ব্রুজো বলেন, তুমি আর কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না। এর পরেই আমি ঠিক করে নিই, আর এখানে নয়। সঙ্গে সঙ্গে কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিই। আমি হোটেলেও যায়নি, কিছু খাওয়াদাওয়াও করা হয়নি। এ ভাবে সম্মান হারিয়ে থাকা যায় না।”