জয়ের মধ্যে দিয়ে গত সিজন শুরু করেছিল পঞ্জাব এফসি (Punjab FC)। বিশেষ করে আইএসএলের প্রথম ম্যাচেই তাঁরা পরাজিত করেছিল শক্তিশালী কেরালা ব্লাস্টার্সকে। তারপর সময় যত এগিয়েছিল ততই দেখা গিয়েছিল পাঞ্জাবের এই ফুটবল ক্লাবের দাপট। ফুলগা ভিদাল থেকে শুরু করে আজমির সুলজিক হোক কিংবা অভিষেক সিং টেকচাম, সকলে সহজেই মন জয় করেছিল দেশের ফুটবলপ্রেমীদের। যারফলে টুর্নামেন্টের প্রথম লেগের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আইএসএলের লিগ শিল্ড জয়ের অন্যতম দাবিদার হিসেবে উঠে এসেছিল আইলিগ জয়ী এই ফুটবল ক্লাব।
যদিও সেটা বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি প্যানিজিওটিস ডিলমপেরিসের ছেলেরা। তাই শেষ পর্যন্ত লিগ টেবিলের দশম স্থানে শেষ করেছিল দল। তারপর সুপার কাপে ভালো পারফরম্যান্স করে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লক্ষ্য থাকলেও কাজে আসেনি সেই লড়াই। মানোলো মার্কুয়েজের এফসি গোয়ার কাছে পরাজিত হয়ে ছিটকে যেতে হয়েছিল টুর্নামেন্ট থেকে। যারফলে হতাশাজনক ভাবে সিজন শেষ করেছিল আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। সেই সমস্ত কিছু ভুলে এবারের এই নয়া সিজনে ট্রফি জেতার চ্যালেঞ্জ তাঁদের কাছে। এক্ষেত্রে বহু আগেই নিজেদের ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছিল ম্যানেজমেন্ট।
যেখানে ভারতীয় ফুটবলারদের পাশাপাশি বিদেশি নির্বাচনে ও যথেষ্ট নজর দিয়েছে আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব। যার মধ্যে বিগত কয়েকদিন ধরেই ব্যাপকভাবে উঠে আসতে শুরু করেছিল বসনিয়ার তারকা ডিফেন্ডার সামির জেলকোভিচের নাম। পাঞ্জাবে যোগদান করার পূর্বে সার্বিয়ার ফুটবল ক্লাব এফকে রাডনিস্কির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আঠাশ বছর বয়সী এই ফুটবলার। সেই দলের হয়ে খেলেছিলেন একাধিক ম্যাচ। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁকে রিলিজ করে দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। নতুন মরসুমে এই বিদেশি ফুটবলারের উপর ভরসা রেখেছে পাঞ্জাব।
এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে এক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। তিনি পাবলো সান্তোস। একটা সময় পায়াসান্ডু স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে নিজের পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এই ডিফেন্ডার। পরবর্তীতে পর্তুগাল সহ কলম্বিয়া ও সৌদি আরবের একাধিক ক্লাবের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। খুব শীঘ্রই এবার হয়তো মাঠে নামতে দেখা যাবে এই বিদেশিকে।