Pele: বেঁচে থাকা বড় কষ্টের গো…শতায়ু মা দেখবেন তাঁর ভুবনজয়ী কালোমানিকের দেহ

শুধু মায়ের কথা শুনে, অভাবের সংসারের কথা ভেবে কান্না চেপে ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে (Santos) থেকে গিয়েছিলেন (Pele) পেলে। সেই ক্লাবের সাথে জীবনের বড় অংশ জড়িয়ে…

শুধু মায়ের কথা শুনে, অভাবের সংসারের কথা ভেবে কান্না চেপে ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে (Santos) থেকে গিয়েছিলেন (Pele) পেলে। সেই ক্লাবের সাথে জীবনের বড় অংশ জড়িয়ে আছে। মা-এর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। সেই শতায়ু মা দেখবেন তাঁর ভূবনজয়ী কালোমানিকের দেহ। তিনি কি কিছু বুঝতে পারবেন? বেঁচে থাকা বড় কষ্টের গো…এমন মুহূর্তও যে হাজির করে দেয় জীবন।

ব্রাজিল ও বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি পেলে ৮২ বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত। তার মা ডোনা সেলেস্তে বেঁচে আছেন। তিনি শতায়ু। তাঁর সামনেই আনা হবে সন্তানের দেহ। এই মর্মান্তিক মুহূর্ত এড়ানোর কোনও উপায় নেই। দীর্ঘশ্বাস চেপে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রয়াত পেলের উত্তরাধিকারীরা।

মাতৃভক্ত ছিলেন পেলে। তাঁর ফুটবলার হওয়ার বড় উৎসাহ ছিলেন মা। বাবার কাছ থেকে ফুটবল শিখেছিলেন। মা তাঁর তার সুখ-দুঃখের আশ্রয়। বারবার মায়ের জন্য ফিরে এসেছেন। একবার তো সান্তোস ক্লাবে ডাক পাওয়ার পরও ক্যাম্প ছেড়ে চলে আসতে চেয়েছিলেন। এমনই পেলে শেষ বারের জন্য মায়ের কাছে আসবেন।

পেলের মায়ের বয়স ১০০ বছর। শয্যাশায়ী। সন্তানকে শেষবার দেখার অপেক্ষায় আছেন তিনি। 

সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে পেলের। পেলের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, তার দেহ ক্লাব সান্তোসে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হবে মায়ের কাছে। পরিবারের উপস্থিতিতে পেলেকে সমাহিত করা হবে।

পেলের পরিবার জানিয়েছে, ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ১৯৬৬ বিশ্বকাপের আগেই ডোনা কিছু না জানিয়ে তিনি চলে গিয়েছিলেন ব্রাজিলের ট্রেনিং ক্যাম্পে। পেলে ছুটে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরেন। এমনই সব মুহূর্ত নিয়ে শতায়ু ডোনা অপেক্ষায়।

এমন বেঁচে থাকা খুব কষ্টের। খুব কষ্টের।