সাফল্যের মধ্য দিয়ে এই নতুন মরসুম শুরু করেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant)। ডুরান্ড কাপে নক আউটে ছিটকে যেতে হলেও পরবর্তী টুর্নামেন্ট থেকেই ঘুরে দাঁড়াতেই বদ্ধপরিকর ছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। সেক্ষেত্রে ঐতিহাসিক আইএফএ শিল্ডকে পাখির চোখ করেছিলেন বাগান (Mohun Bagan Super Giant) কোচ। যেখানে একেবারেই নিরাশ হতে হয়নি হোসে মোলিনাকে। সেবার গ্রুপ পর্বের দুইটি ম্যাচে অনায়াসেই তাঁরা পরাজিত করেছিল গোকুলাম কেরালা এফসি এবং ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবকে। তারপর লড়াই করতে হয়েছিল পড়শী ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে অমীমাংসিত ফলাফল থাকলেও টাইব্রেকার বদলে দিয়েছিল সমস্ত কিছু।
বিশাল কায়েথের দক্ষতায় শিল্ড জিতেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan Super Giant)। এবার সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখাই অন্যতম লক্ষ্য দলের সকল ফুটবলারদের। এবার সুপার কাপ জিততে মরিয়া সবুজ-মেরুন। গত কয়েকদিন আগেই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমেছিল ময়দানের এই প্রধান। যেখানে তাঁরা দুইটি গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছিল চেন্নাইয়িন এফসিকে। তারপর দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্বল ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে জয় পাওয়ার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। গোলশূন্য ফলাফলে শেষ হয়েছে সেই ম্যাচ। যারফলে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে আগামী ৩১ শে অক্টোবর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দুর্বল ইস্টবেঙ্গলকে পরাজিত করতে হবে জেসন কামিন্সদের।
এখন সেই মতোই নিজেদের প্রস্তুত করছেন দলের ফুটবলাররা। এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দলের তারকা ডিফেন্ডার টম অলড্রেড বলেন, ‘ কখনও কখনও এমন দলগুলির ও মুখোমুখি হতে হয় যারা ব্যাপক নজর কাড়ে এবং তাঁদের সত্যিই আটকানো কঠিন হয়ে যায়। আমি এটি অনেকবার দেখেছি, এমনকি ইংল্যান্ডে, এফএ কাপেও, যেখানে নিম্ন-লিগের দলগুলি সর্বস্ব দিয়ে রক্ষণভাগ সামাল দেয়। আমরা সেই রাতে গোল পাইনি, কিন্তু সেটা অতীত। এখন আমরা জানি আমাদের কী করতে হবে।’
পাশাপাশি আরও বলেন, ‘ আমরা সব সময় ডার্বি জিততে চাই। সেই কথা মাথায় নিয়েই আমরা মাঠে নামি। সকলেই নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে।’


