রাত পোহালেই হাইভোল্টেজ ডার্বি ম্যাচ (Kolkata Derby)। যেখানে মুখোমুখি হবে কলকাতা ময়দানের দুই যুযুধান পক্ষ। একদিকে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব অন্যদিকে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। মরসুমের তৃতীয় ডার্বি এটি। শুধুমাত্র ডার্বি বললে ভুল হবে, এবারের ঐতিহ্যবাহী আইএফএ শিল্ডের বিজয়ী নির্ধারণী ম্যাচ হতে চলেছে এদিন সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। যা নিয়ে বহু আগে থেকেই উন্মাদনা দেখা দিয়েছিল বাংলার ফুটবলপ্রেমী মানুষদের মধ্যে। গত কয়েকদিন আগে নামধারী এফসিকে পরাজিত করে ফাইনালে উঠেছিল লাল-হলুদ শিবির। তারপর দিন কয়েক আগে অঘোষিত সেমিফাইনালে নেমেছিল সবুজ-মেরুন।
যেখানে লালকমল ভৌমিকের ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবকে পরাজিত করে ফাইনালের ছাড়পত্র সংগ্রহ করেছিল হোসে মোলিনার মোহনবাগান। আর একটি ম্যাচ। তারপরেই মরসুমের প্রথম খেতাব ঘরে তোলার হাতছানি দুই প্রধানের। স্বাভাবিকভাবেই লড়াইটা যে খুব একটা সহজ হবে না সেটা ভালো মতোই বুঝতে পারছেন দুই দলের ফুটবলাররা। তাই গত দুইটি ম্যাচে উভয় দল জয়লাভ করলেও প্রতিপক্ষ দলকে হালকা ভাবে নিতে নারাজ প্রত্যেকেই। তবে এসবের মাঝেই শুক্রবার সকাল থেকে একটি ছবি ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছিল নেটমাধ্যমে। যেখানে দাবি করা হচ্ছিল যে যুবভারতী অনুশীলন গ্রাউন্ডে লাল-হলুদের অনুশীলন চলাকালীন পার্শ্ববর্তী হোটেল থেকে নাকি নজরদারি করতে দেখা গিয়েছে এক ব্যক্তিকে এক ব্যক্তিকে।
সেখান থেকেই গুপ্তচর শব্দটি ব্যবহার হয়ে আসছে নানা ক্ষেত্রে। আরও জানা গিয়েছিল, সেই হোটেলেই নাকি অবস্থান করছেন প্রতিপক্ষ দল তথা মোহনবাগানের একাধিক ফুটবলার সহ সাপোর্টিং স্টাফেরা। সেই প্রসঙ্গে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন সবুজ-মেরুন সচিব সৃঞ্জয় বসু। আজ সাংবাদিক বৈঠক চলাকালীন এক সাংবাদিকের তরফ থেকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করার সাপেক্ষে তিনি জানান, ” এই বিষয় নিয়ে কিছু জানা নেই। যদি এমনিই হয় তাহলে ঘর বন্ধ করে প্রাকটিস করতে পারে ইস্টবেঙ্গল। এমন স্ট্র্যাটেজি।” পাশাপাশি এদিন সন্ধ্যায় মোহনবাগানের ফ্যানবেস গুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বাগান সভাপতি দেবাশিস দত্ত এবং সচিব সৃঞ্জয় বসু।
এই প্রসঙ্গে দেবাশিস দত্ত বলেন, ” সমর্থকদের বাদ দিয়ে তো ক্লাব হতে পারে না। আমি আর সৃঞ্জয় দুজনেই ওদের সঙ্গে বসেছিলাম। ওদের অভিযোগ কিংবা ওদের কষ্টটা বোঝার চেষ্টা করলাম। আমরা নিশ্চয়ই এটা দেখব। ওরা কালকে আসবে দলকে সমর্থন করবে। সব রকমভাবে পাশে থাকবে।”