দীর্ঘ ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান। অবশেষে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) হাতে উঠল আইএফএ শিল্ড। ১২৫তম সংস্করণের ঐতিহাসিক ট্রফি জয়কে ঘিরে বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটার দিন উৎসবে মেতে উঠল গোষ্ঠ পাল সরণির সবুজ-মেরুন তাঁবু। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই ক্লাব লনে সমর্থকদের ভিড়ে জমে উঠল আবহ। হাতে পতাকা, গলায় স্কার্ফ, মুখে সবুজ-মেরুন রঙ। মোহনবাগান মন্ত্রে মুখরিত হয়ে উঠল গোটা এলাকা।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) ফাইনালে টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে শিল্ড জয় করে মোলিনা ব্রিগেড। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ১-১ সমতায় শেষ হয় খেলা। অতিরিক্ত সময়েও গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে, সেখানেই গোলরক্ষক বিশাল কাইথের দুর্দান্ত সেভ এনে দেয় স্বপ্নের ট্রফি। ২০০৩ সালের পর ফের একবার এই মর্যাদাপূর্ণ শিল্ডে নাম খোদাই করল মোহনবাগান।
অজিভূমিতে ভারতের পরাজয়ের দিনে রেকর্ডবুকে নাম তুলে ত্রাতা স্মৃতি
বুধবারই ক্লাবের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটেয় মোহনবাগান (Mohun Bagan) তাঁবুতে প্রদর্শিত হবে আইএফএ শিল্ড। কথা রেখেই বিকেলে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সভাপতি দেবাশিস দত্ত, সচিব সৃঞ্জয় বোসসহ কার্যকরী কমিটির সদস্যরা। শিল্ড হাতে তুলে ধরা হয় সমর্থকদের সামনে, আর সেই মুহূর্তে করতালিতে মুখরিত হয় গোটা লন। কেউ সেলফি তুললেন, কেউ আবার পতাকা নেড়ে উদযাপনে যোগ দিলেন। সবুজ-মেরুনের আবেগে ভেসে গেল পুরো গোষ্ঠ পাল সরণি।
অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস। তিনি বলেন, “পরিবারে কথা কাটাকাটি হতেই পারে, কিন্তু ভাঙন ধরবে না। আমরা এক পরিবার, এক ক্লাব।” এরপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে উদ্দেশ্য করে খানিক খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “অন্যের ভালোতে এত কষ্ট না পেয়ে নিজেদের ঘর সামলাক।” অন্যদিকে সভাপতি দেবাশিস দত্ত বলেন, “নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। আগে ঠিক করে খেলুক, তাহলেই জিতবে ইস্টবেঙ্গল।”
এই জয়ের পর নতুন উদ্যমে এগোতে চাইছে বাগান ব্রিগেড। শিল্ড জয়ের পর খেলোয়াড়েরা কয়েক দিনের বিশ্রাম কাটালেও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে সুপার কাপের প্রস্তুতি। কামিংস, ম্যাকলারেনদের নিয়ে এদিন গোয়া রওনা দিয়েছে দল।


