গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই আনোয়ার আলিকে নিয়ে সরগরম ছিল ক্লাব ফুটবল। পূর্বে মোহনবাগান (Mohun Bagan) সুপার জায়ান্টের হয়ে খেলেছিলেন এই তারকা ডিফেন্ডার। দুরন্ত পারফরম্যান্স করার পাশাপাশি দলকে ট্রফি জেতানোর ক্ষেত্রে ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই তারকা সেন্টার ব্যাকের। কিন্তু গত সিজনের মাঝামাঝি সময় বদলে যায় গোটা পরিস্থিতি। লোন ডিলের পরিবর্তে ক্লাবের কাছে স্থায়ী চুক্তি চেয়েছিলেন জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার। কিন্তু সঠিক উত্তর পাননি। শেষ পর্যন্ত সকলকে চমকে দিয়ে তাঁকে দলে টেনে নেয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইস্টবেঙ্গলে।
এই ট্রান্সফার নিঃসন্দেহে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল দেশের সকল ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। কিন্তু এত সহজে খেলোয়াড় ছাড়তে রাজি ছিলনা সবুজ-মেরুন। পরবর্তীতে তাঁকে ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে নামে বাগান ব্রিগেড। যারফলে ক্রমশ জটিল হয়ে উঠতে শুরু করেছিল গোটা পরিস্থিতি। পরবর্তীতে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির আওতায় চলে যায় এই দল বদলের ইস্যু। পূর্বে সেই নিয়ে তাঁদের তরফে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হলেও সেই নিয়ে খুব একটা খুশি থাকেনি পড়শী ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। যারফলে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট। সেখানেই খতিয়ে দেখা হয় গোটা বিষয়টি।
আদালতের তরফে পিএসসির তরফে পূর্বে জারি করা সমস্ত সিদ্ধান্ত বাতিল করে গোটা বিষয়টি শুরু থেকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সুবাদেই নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পায় আনোয়ার আলি। যারফলে লাল-হলুদ জার্সিতে এখনও খেলতে পারছেন এই তারকা ফুটবলার। পরবর্তীতে শুনানির দিনক্ষণ ধার্য করা হলেও দেখা দিয়েছিল একাধিক সমস্যা। সময়ের সাথে সাথে বর্তমানে অনেকটাই বদলেছে সেই গতিপথ। গত সেপ্টেম্বর মাসে আনোয়ার আলি ইস্যুর শুনানির দিনক্ষণ নিয়ে ফেডারেশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল মোহনবাগান।
কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। তাছাড়া ইতিমধ্যেই ডামাডোল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে এআইএফএফ এর অন্দরে। সেই সমস্ত কিছু মাথায় রেখেই এবার আনোয়ার আলি প্রসঙ্গে বিশ্ব ফুটবল সংস্থা তথা ফিফায় দ্বারস্থ হল মোহনবাগান। গত শুক্রবার প্রায় ছয় পাতার চিঠি পাঠানো হয় তাঁদের তরফে। যারফলে আনোয়ার আলিকে নিয়ে আবারও নতুন করে সরগরম হয়ে উঠল কলকাতা ময়দান।


