খালিদ জামিলের শক্তিশালী জামশেদপুর এফসিকে পরাজিত করে সুপার কাপ জয় করেছিল এফসি গোয়া (FC Goa)। যারফলে এবার এএফসির টুর্নামেন্টে খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে দেশের এই শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব। যা নিঃসন্দেহে বড়সড় পাওনা সমর্থকদের কাছে। সেই কথা মাথায় রেখে অনেক আগে থেকেই দল গঠনে বাড়তি নজর দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট। এক্ষেত্রে আগের তুলনায় দলকে আরও শক্তিশালী করাই প্রধান লক্ষ্য ছিল সকলের। সেইমতো একাধিক দেশি ও বিদেশি ফুটবলারদের চূড়ান্ত করেছে আইএসএলের এই ফুটবল ক্লাব।
কিন্তু শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচেই নিজেদের ঘরের মাঠে পরাজিত হতে হয়েছিল আল-জাওরার কাছে। যা নিঃসন্দেহে হতাশ করেছিল সকলকে। তারপরে ও জয়ের মুখ দেখতে মরিয়া ছিল মানোলো মার্কুয়েজের ছেলেরা। কিন্তু সেবার বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাজিকিস্তানের ফুটবল ক্লাব ইস্তিকলোল। সেই হতাশা ভুলে এবার নিজেদের দেশের মাটিতে শক্তিশালী আল-নাসেরে বিপক্ষে লড়াই করলেও আসেনি জয়। যারফলে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া আর হয়তো সম্ভব নয় তাঁদের পক্ষে। তবে এএফসির এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই আগামীতে সাফল্য চান মানোলো।
আগামীকাল সৌদি আরবের মাটিতে পরবর্তী ম্যাচে আল-নাসেরের বিপক্ষে খেলতে নামবে এফসি গোয়া (FC Goa)। গত ম্যাচের মতো এই ম্যাচে ও দাপটের সাথে খেলতে চান বোরহা হেরেরা থেকে শুরু করে জাভিয়ের সিভেরিও টোরোরা। সেই নিয়েই এবার মুখ খুললেন গোয়া (FC Goa) শিবিরের এই স্প্যানিশ কোচ। তিনি বলেন, ‘ “আমরা জানি যে এটি আরেকটি খুব কঠিন ম্যাচ হবে। আমরা এমন একটি দলের মুখোমুখি হচ্ছি যারা আমাদের গ্রুপের বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত হবে এবং টুর্নামেন্ট জয়ের জন্য ফেভারিট হবে। এখন আমরা তাঁদের সাথে সৌদিতে খেলব।’
আরও বলেন, ‘ আমরা ভালো খেলতে চাই, তবে আমরা এই অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে এবং এমন শিক্ষা নিতে চাই যা ভবিষ্যতের জন্য আমাদের সাহায্য করবে। এই কারণেই আমি বারবার বলছি যে পরবর্তী সিজনে আবার যোগ্যতা অর্জন করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ তাই এবারের সুপার কাপকে ও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন সকলে।


