এবার এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের পরবর্তী ম্যাচ খেলতে নামবে ভারতীয় ফুটবল দল। যেখানে তাঁদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ। গত মার্চে তাঁদের বিপক্ষে ভালো খেলে ও গোলের মুখ খোলা সম্ভব হয়নি। যারফলে অমীমাংসিত ফলাফলে ম্যাচ শেষ করতে হয়েছিল ব্লু-টাইগার্সদের। সেই নিয়ে যথেষ্ট হতাশা দেখা দিয়েছিল দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। সেই হতাশা কাটিয়ে এবার আসন্ন ম্যাচে হামজা চৌধুরী থেকে শুরু করে তপু বর্মনদের আটকানোর চ্যালেঞ্জ ভারতীয় ফুটবল দলের। সেইমতো নিজের দলকে ঢেলে সাজিয়েছেন খালিদ জামিল।
কিন্তু আগের তুলনায় বাংলাদেশ যে অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই সবদিক মাথায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দলকে তৈরি করেছেন এই নব নিযুক্ত ভারতীয় কোচ। পাশাপাশি এএফসির এই নিয়মরক্ষার ম্যাচে নামার আগে দলকে ভালো মতো পরোখ করে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল খালিদের। সেইমতো গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরেক প্রতিবেশী দেশ তথা ভুটানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল এডমুন্ড লালরিন্ডিকারা। সেখানে যথেষ্ট ইতিবাচক ফল পেয়েছে দল। রুদ্ধদ্বার সেই ম্যাচে পাঁচ গোলের ব্যবধানে সেই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারতীয় ব্রিগেড।
সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলবে ভারত। প্রায় ২২ বছর পর ঢাকার মাটিতে হামজা চৌধুরীদের বিপক্ষে খেলতে নামতে চলেছে আনোয়ার আলিরা। সেজন্য, গত কয়েকদিন আগেই সেই দেশের রাজধানী তথা ঢাকায় পৌঁছে গিয়েছে ব্লু-টাইগার্স। ম্যাচের আগে আজ সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের ফুটবলার সহ কোচ। সেখানেই এই ম্যাচ প্রসঙ্গে জামিল বলেন, ‘ আমরা এখানে আসতে পেরে খুশি, এবং বাংলাদেশে থাকতে পারা আমাদের জন্য আনন্দের। তারা একটি ভালো দল, এবং এটি একটি ভালো ম্যাচ হবে।’ এছাড়াও তাঁর আগে ভারতের এক জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘এটা পুনঃস্থাপনের জন্য উপযুক্ত সময়। আমি এমন খেলোয়াড় চাই যারা মাঠের মধ্যে একশো শতাংশ দেবে। মনোভাব ভালো হওয়া উচিত। আমি মাঠে সবকিছু লক্ষ্য করি, আমার চোখ খুব একটা কিছু মিস করে না। যদি কোনও খেলোয়াড় একশো শতাংশ না দেয়, তাহলে সে বাদ পড়বে।’
অর্থাৎ তিনি যে খুব ভাবনা চিন্তা করেই নিজের একাদশ সাজাবেন সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেক্ষেত্রে আদৌও কাদের রাখা হয় প্রথম দলে সেটাই দেখার।


