আগের তুলনায় এবার যথেষ্ট ভালো ফুটবলের মধ্যে দিয়ে সিজন শুরু করেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব (East Bengal FC)। ঐতিহ্যবাহী ডুরান্ড কাপে সিনিয়র দল চূড়ান্ত সাফল্য না পেলেও অনায়াসেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে পরাজিত করেছিল মশাল ব্রিগেড। যদিও পরবর্তীতে অর্থাৎ ডুরান্ড সেমিফাইনালে পরাজিত হতে হয়েছিল বাংলার শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব ডায়মন্ড হারবার এফসির কাছে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠা যথেষ্ট কঠিন ছিল দলের সমর্থকদের কাছে। তবে সেই ধাক্কা ভুলে আইএফএ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য ছিল এই প্রধানের।
যদিও সেটা সম্ভব হয়নি। টুর্নামেন্টের ফাইনালে পরাজিত হতে হয়েছিল হোসে মোলিনার মোহনবাগানের কাছে। ডার্বি পরাজয়ের পাশাপাশি খেতাব হাতছাড়া ভুলে এবার অস্কার ব্রুজোর টার্গেট সুপার কাপ। সেইমতো খেলোয়ারদের প্রস্তুত করছেন এই স্প্যানিশ কোচ। প্রথম ম্যাচে আইলিগের ক্লাব ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবের কাছে আটকে যেতে হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে অনায়াসেই তাঁরা পরাজিত করেছিল ক্লিফোর্ড মিরান্ডার শক্তিশালী চেন্নাইয়িন এফসিকে। যারফলে নক আউটের লড়াইয়ে টিকেছিল দল। তারপর মোহনবাগানের সঙ্গে ডার্বি ড্র করে সেমি নিশ্চিত করে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal FC)।
সব ঠিকঠাক থাকলে এই নতুন মাসের শেষের দিকেই আয়োজিত হবে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ম্যাচ। তাঁর আগে রয়েছে অনেকটা সময়। দল শহরে আসার পর খেলোয়াড়দের বেশ কয়েকদিনের ছুটি দিয়েছেন অস্কার। যারফলে নিজেদের মতো করে সময় কাটাচ্ছেন দলের ফুটবলাররা। যার মধ্যে রয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা কেভিন সিবিলে। উল্লেখ্য, এবারের এই সিজনের শুরুতে তাঁকে দলে টেনেছে লাল-হলুদ শিবির। তারপর থেকে যখনই সুযোগ পেয়েছেন নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছেন এই তারকা ফুটবলার। এমনকি গত ম্যাচে ও আনোয়ার আলির সঙ্গে যথেষ্ট দাপটের মধ্যে দিয়ে সামাল দিয়েছিলেন রক্ষণভাগ।
এবার কম্বোডিয়ায় ছুটি কাটাচ্ছেন এই বিদেশি সেন্টার ব্যাক। বেশকিছু সময় আগে নিজের সোশ্যাল সাইটে সেই সম্পর্কিত বেশকিছু ছবি আপলোড করেন এই তারকা ফুটবলার। তিনি একানন। কেভিনের সাথেই দেখা গিয়েছে দলের ফিজিক্যাল ট্রেনার হাভিয়ের সাঞ্চেস ও তাঁর স্ত্রী।


